শুক্রবার, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

পিরোজপুরে স্কুলের দৃষ্টিনন্দন ভবনের ভেতরে বাঁশে ভর করছে ছাদ!

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৬৭ বার পঠিত

বিদ্যালয় ভবনের বাইরের দেওয়ালে নতুন রঙ লেগেছে। লিখা হয়েছে গুণীজনদের বাণীও। আছে বড় অক্ষরের ইংরেজি-বাংলা বর্ণমালাও। ভবনে তিনটি পাঠদান কক্ষ ও একটি শিক্ষকদের বসার কক্ষ আছে। কিন্তু কক্ষগুলোতে ঢুকেই চক্ষু চড়কগাছ।

জরাজীর্ণ ভবনের ভেতরের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। পলেস্তারা খসে প্রতিটি কক্ষের ভিমের রড বেরিয়ে গেছে। একটি কক্ষের ছাদের ভিম ভেঙে দুর্বল হয়ে পড়ায় বাঁশ দিয়ে খুঁটি দেওয়া হয়েছে। তবে কক্ষটিতে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বাকি দুটি কক্ষের একটিতে টিনের বেড়া দিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পাঠদান চলছে।

পিরোজপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ একপাই জুজখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটির বাইরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই ভবনটি কতটা ঝুঁকিপূর্ণ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৮০ সালে সদর উপজেলার দক্ষিণ একপাই জুজখোলা গ্রামের বেলায়েত হোসেন খান বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৪ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করে। ২০১৩ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। ঝুঁকি নিয়ে বছর ধরে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ১০ মাস আগে ভবনের বাইরে রঙ করা হয়েছে। তবে দুর্ঘটনা আতঙ্কে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে।

jagonews24

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মিম আক্তার জানায়, বিদ্যালয়ের ভবনটি পুরানো হয়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ভেঙে পড়ছে। তাই এ ভবনে ক্লাস করতে ভয় লাগে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিনা আক্তার বলেন, ‘২০১৮ সালে আমি দক্ষিণ একপাই জুজখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবে যোগদান করি। তখন ৮৫ জন শিক্ষার্থী ছিল। বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় স্থানীয় মক্তবে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে গত বছরের এপ্রিলে ভবনটি রং ও প্লাস্টারে সংস্কার করা হয়। তবে সংস্কারে ভবনটি দেখতে দৃষ্টিনন্দন হলেও ঝুঁকি রয়ে গেছে। একটি কক্ষে ছাদের জরাজীর্ণ ভিম ভেঙে যেন না পড়ে সে কারণে বাঁশের খুঁটি দেওয়া হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য কয়েক বছর ধরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে যোগাযোগ করছি। জরুরি ভিত্তিতে নতুন ভবন করা না হলে যেকোনো সময়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা আছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পিরোজপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী হরষিত সরকার বলেন, ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো তালিকায় বিদ্যালয়টির নাম পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com