এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ৮১ দিন পর (প্রায় ৩ মাস) রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজার পথে বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার আশপাশে ভিড় করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা চিন্তা করে খালেদা জিয়াকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদার জানান, খাদ্যনালী স্ক্যান করে ব্লিডিং ব্লক করা হলেও আবারও ব্লিডিং হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট্য মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছিল। বাসায় থেকে মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছিল তার। কিন্তু জ্বরে আক্রান্ত হলে ১২ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। এসময় তার বায়োসপসি পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্ট দেখে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের পরামর্শে চলতে থাকে চিকিৎসা। এ দফায় ২৬ দিন হাসপাতালে ছিলেন বিএনপি নেত্রী।
গত ২৮ নভেম্বর চিকিৎসক দলের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়া দরকার। তবে সরকার এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি।