বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একমাসেও স্থাপন করা হয়নি কিডনি ডায়ালাইসিসের নতুন ১০টি মেশিন। ফলে চাহিদা অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কিডনি রোগীরা।
ভুক্তভোগীরা জানান, কমমূল্যে আধুনিক চিকিৎসা নেওয়ার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে হয় তাদের। কিন্তু এখানে ডায়ালাইসিস করতে এসে ঠিকমতো সেবা মেলে না। ডায়ালাইসিসের সিরিয়াল পাওয়ার আগেই অনেক সময় মারা যাচ্ছে রোগী। আবার অনেকেই ছুটছেন ঢাকায়।
জানা যায়, হাসপাতালটিতে বর্তমানে ১০টি ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে। যার মাধ্যমে দিনে ২০ জনের কিডনি ডায়ালাইসিস করা যায়। কিন্তু দিনে রোগী আসছেন ১০০ জনেরও বেশি। তাই চাহিদা বিবেচনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও ১০টি নতুন ডায়ালাইসিস মেশিন সরবরাহ করলেও স্থান সংকট থাকায় সেগুলো একমাস ধরে বাক্সবন্দী হয়ে আছে।
নেফ্রোলজি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স বিউটি বেগম জানান, একজন রোগী প্রতি সপ্তাহে দুটি ডায়ালাইসিস করার সুযোগ পাচ্ছেন। জনপ্রতি মাত্র চারশ টাকা খরচে প্রতিদিন ২০ জন রোগীকে এখানে ডায়ালাইসিস করা হয়।
নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী রুমি বলেন, এখানে স্বতন্ত্র কোনো কিডনি ওয়ার্ড নেই। তাই মেডিসিন বিভাগের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ ধরনের রোগীদের ভর্তি করা হচ্ছে। এখানে প্রাথমিকভাবে ৫০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট চালুর জন্য চাহিদাপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
তবে শিগগিরই মেশিনগুলো স্থাপন করে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, হাসপাতালের নতুন ভবনে মেডিসিন বিভাগ চালু করা হয়েছে। এ কারণে কয়েকটি ওয়ার্ড খালি হয়েছে। তবে নতুন ভবনে কিডনি ডায়ালাইসিস বিভাগ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা বাকি ১০টি ডায়ালাইসিস মেশিন চালু করবো।