তৃতীয়বারের মতো নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ৬৮ বছর বয়সী সিপিএন-মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দাহাল, যিনি প্রচণ্ড নামেই পরিচিত। দেশটির প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি গতকাল রোববার প্রচণ্ডকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।
প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে জারি করা বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন বিরোধী সিপিএন-ইউএমএল, সিপিএন-মাওবাদী কেন্দ্র, রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি (আরএসপি) এবং কয়েকটি ছোট দল এক বৈঠকে প্রচণ্ডের নেতৃত্বে সরকার গঠনে সম্মত হয়।
সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রথম আড়াই বছর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন প্রচণ্ড। এরপর জোটসঙ্গী ও প্রধান বিরোধী দল ইউএমএলের একজন নেতা বাকি আড়াই বছর প্রধানমন্ত্রী হবেন।
সিপিএন-ইউএমএলের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর পোখারেল বলেন, ‘নেপাল কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েও সরকার গঠন করতে পারেনি। তাই প্রচণ্ডের নেতৃত্বে সিপিএন-ইউএমএল নতুন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
নেপালে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্য সংখ্যা ২৭৫। সেখানে ১৬৫ জনের সমর্থন পেয়েছে নতুন জোট সরকার। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে আস্থাভোটে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে প্রচণ্ডকে।
উল্লেখ্য, নেপালে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক দশক ধরে চলা বিদ্রোহের নেতৃত্ব দানকারীদের একজন প্রচণ্ড। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ সোমবার তার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।