অবশেষে দীর্ঘ প্রায় সাত মাস পর ভারতে আটকেপড়া দুই ট্রলারসহ মহেষখালী কুতুবদিয়া ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ৮৮ জেলে দেশে ফিরেছে। ২৯ আগস্ট বিকেলে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবি’র নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন (১৭ বিজিবি)-এর অপারেশনাল দায়িত্বাধীন রিভারাইন বর্ডার গার্ড কোম্পানীর অধীনস্থ কৈখালী বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কালিন্দী নদীর মধ্যবর্তী স্থানে ভারতে আটকেপড়া এফবি শাহ আমানত ও এফবি সোনার মদিনা-২ নামের দু’টি ফিশিং ট্রলারসহ জেলেদের বিজিবি’র কাছে করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক তৎপরতায় কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-হাইকমিশনারের সহযোগিতায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে কলকাতার বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আটক জেলেদের দেশে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন।জেলেদের হস্তান্তরের সময় বিজিবি ও বিএসএফের প্রতিনিধি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা বিশেষ শাখা, সাতক্ষীরা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, শ্যামনগর থানা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কক্সবাজার থেকে আগত প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জন জেলেদের জন্য খাবার এবং অন্যান্য প্রশাসনিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বিজিবির পক্ষ থেকে।
জানা গেছে. চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ার সময়ের মধ্যে গভীর সাগরে মাছ আহরণ করতে গিয়ে ঘনকুয়াশার কারণে সমুদ্র সীমানা লঙ্ঘনের অপরাধে ভারতের কোস্টগার্ড ট্রলারসহ জেলেদের আটক করে সংশোধনাগারে রাখেন। এদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাঁশখালী এফবি সোনার মদিনা ট্রলারের ৩২ জন কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার ট্রলার এফবি আলভীর ২৯ জন ও মহেশখালীর এফবি শাহ্ আমানত ওরফে ফাতেমার ২৭ জন জেলে ছিল বলে ওই সময়ে জানা গেছে।
বাঁশখালী শিলকুপ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ট্রলার সোনার মদিনার মালিক আবছার, কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর ট্রলার মালিক যথাক্রমে মো. জসিম উদ্দিন ও রশিদ কোম্পানী ওই সময়ে জেলেদের ভারতীয় কোস্টগার্ডের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।