সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির পাথর লুট ও চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবীব।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলায় এক থেকে দেড় হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, কিছু দুষ্কৃতকারী গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী সময়ে গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ ও অননুমোদিতভাবে কোটি কোটি টাকার পাথর লুটপাট করেছে মর্মে বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত রয়েছেন, তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর সিলেটের দুই পর্যটনকেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জের সাদা পাথর ও গোয়াইনঘাটের জাফলং থেকে লুট হয়ে যায় কয়েক শত কোটি টাকার পাথর। সর্বশেষ ১৫ দিনে সাদা পাথরের মাটি খুঁড়ে নজিরবিহীন পাথর লুটপাটের পর সক্রিয় হয় প্রশাসন।
সারাদেশে আলোচিত লুটপাটের এ ঘটনায় হাইকোর্ট পাথর উদ্ধার করে যথাস্থানে প্রতিস্থাপন ও লুটেরাদের তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।
এরপর সিলেটসহ সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। গত তিন দিনে সিলেট, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে লুট হওয়া পাথরের মধ্যে মোট ১ লাখ ৯ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও লুট হওয়া মোট পাথরের তুলনায় তা অতি সামান্যই।
তবে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শের মাহবুব মুরাদ। তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া পাথর আবারও সাদাপাথর এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।