ইউক্রেনের ডনবাসের সেভেরোদোনেৎস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনার মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। জেলেনস্কির দাবি, ইউক্রেনের সেনা জমি ছাড়েনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তার রাতের ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, সেভেরোদোনেৎস্কের প্রতিটি রাস্তায় লড়াই চলছে। ইউক্রেনের সেনা সেখানে বিন্দুমাত্র জমি ছাড়েনি। জেলেনস্কির ঘোষণা, ডনবাস ইউক্রেনের কাছেই আছে।
জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, রাশিয়া যদি ডনবাস অধিকার করে নিত, তাহলে ইউক্রেনের পক্ষে পরিস্থিতি কঠিন হতো। তিনি বলেছেন, আমরা এখনো পর্যন্ত ডনবাস নিজেদের অধিকারে রাখতে পেরেছি। আমাদের সেনা পুরোদমে লড়াই করছে।
তবে তিনি জানিয়েছেন, সেভেরোদোনেৎস্কে ও তার পাশের শহরে আর কোনোকিছুই ঠিকঠাক নেই। রাশিয়া সেখানে লাগাতার বোমা ও গোলা মেরে সবকিছু গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
এর আগে লুহানস্কের গভর্নর জানিয়েছিলেন, সেভেরোদোনেৎস্কে যে লড়াই চলছে, তাতে শক্তির পরীক্ষা হচ্ছে। রাশিয়া সমানে সেভেরোদোনেৎস্কে গোলা মারছে। তারা সবকিছু গুঁড়িয়ে দেয়ার নীতি নিয়ে চলছে।
মাঝখানে রাশিয়ার সেনা শহরের বেশ কিছুটা ভিতরে ঢুকে যেতে পেরেছিল। সম্প্রতি ইউক্রেনের বাহিনী আবার তাদের কিছুটা পিছিয়ে দিতে পেরেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
তবে সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের কতটা ইউক্রেনের সেনা অধিকার করে রাখতে পেরেছে তা ডিডাব্লিউ যাচাই করে দেখতে পারেনি। ডিডাব্লিউর নিক কনোলি জানিয়েছেন, শহরের একটা শিল্পাঞ্চল ইউক্রেনের সেনার দখলে আছে।
ইইউ-র সদস্য
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ইইউ সদস্য হওয়া খুবই জরুরি। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাদের সদস্য হওয়ার আবেদনের বিষয়টি বিবেচনা করবে ইইউ। তিনি ইতোমধ্যেই পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জেলেনস্কি জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইইউ যে সিদ্ধান্ত নেবে তা শুধু ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাই নয়, গোটা ইউরোপের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করবে ইইউ শক্তিশালী ইউনিয়ন হিসাবে থাকবে কিনা।
সূত্র : ডয়চে ভেলে