কাঁপে থরো থরো ভীরু কৃষ্ণকলি,
ফুটিতে চাহে নব কোন পরশে।
দেখিয়া সে রূপ পাখির কাকলি
আজি বুঝি বাসন্তীধারা বরষে ।।
নয়ন মেলি সে উথাল পাথাল
এতো আলো আর এতো ভালবাসা,
হৃদয়েরে বুঝি করলো মাতাল।
জীবনে জাগে তার নূতন আশা।।
ভ্রমর যবে আসিয়া গুঞ্জরীল—
শরমে বুঝি রাঙিয়া একাকার।
মধু ভারে তার নয়ন মুদিলো
লজ্জা,ভয় সবে খুলে দিল দ্বার।।
না রহিলো বাধা,না কোন বন্ধন,
ভাসিয়া গেলো সে প্রেমের জোয়ারে।
মাখিয়া মনেতে সুখের চন্দন,
নবরূপে চিনিল দোঁহে দোঁহারে।।
কহে অলি হৃদয় মাধুরী মোর,
ঢালিয়া দিনু তব অধরে তাহা।
এবে খুলে দাও তব বাহুডোর,
ভুলিবোনা কভু দিলে তুমি যাহা।।
সজল নয়নে কুসুম শুধায়,
ফিরে যদি যাবে কেন তবে আসা?
আসিবার পরে মাঙিছো বিদায়,
বিরহ বেদনার এ কোন ভাষা?
আমি চেয়ে চেয়ে দেখি আর ভাবি
ইহারেই কি গো অনুরাগ কহে?
যাহার পরেতে নেই কোন দাবী,
চিরস্থায়ী তাহা কহিবার নহে।।