বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘গত আট বছরে যত বাজেট তার থেকে বেশি ব্যয় বিদ্যুৎ খাতে করা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন হলে, তাহলে বিদ্যুৎ ঘাটতি কেন?’ আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যা বিদ্যুৎ প্রয়োজন তার থেকে ডাবল আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা এত বেশি তাহলে কেন বেশি টাকা দিয়ে কুইক রেন্টালের চুক্তি বারবার বাড়ানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে কুইক রেন্টাল নামক এক আজব বিষয় আছে। কুইক রেন্টালের নামে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা জনগণের পকেট থেকে কিছু ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছে। শুধু শুধুই কি দেওয়া হচ্ছে নাকি সেই টাকার ভাগ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। না গেলে অপ্রয়োজনীয় এই খাতে কেন টাকা ব্যয় করা হচ্ছে?’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কখনো শুনি নাই সুইস ব্যাংকে টাকার কথা, সেকেন্ড হোমের কথা, বেগম পাড়ার কথা, গত কয়েক বছর ধরে আমরা শুনছি। জনগণ দাবি করছে বেগম পাড়ায় কাদের বাড়ি? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন- রাজনীতিবিদদের থেকে আমলা ও ব্যবসায়ীদের বাড়ি বেশি। কারা সেসব আমলা ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ। এ সকল জানার অধিকার বাংলাদেশের মানুষের রয়েছে।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যারা সরকারে রয়েছেন তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। রাতের বেলা ভোট করে তারা ক্ষমতা দখল করে রয়েছে। সে কারণে জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই, যদি থাকতো তাহলে জনগণের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য তারা কাজ করতো। কিন্তু সেটা তারা না করে নিজেদের এবং নিজেদের যারা আপন তাদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য কাজ করেছে। এ কারণে আজকে বাংলাদেশের মানুষ দুর্দশার মধ্যে পড়েছে। এর চেয়ে বেশি দুর্দশার আশঙ্কা করছে।’
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানার সভাপতি নিপুন রায় চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন, মোজাদ্দেদ আলী বাবু সহ জেলার নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে ঢাকা জেলা বিএনপির দশটি ইউনিট (থানা, উপজেলা ও পৌর কমিটি)। এর মধ্যে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও দোহার নবাবগঞ্জ থেকে উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মী যোগদান করলেও বাকি ইউনিটগুলো থেকে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি হাতে গোনা।