স্ত্রীর বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে আব্দুল্লাহ আল সোহান (২৬) নামের এক যুবককে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত ৯ টার দিকে রাজধানীর মুগদা এলাকার মনোয়ারা হাসপাতাল সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহান পটুয়াখালী জেলার বাউফল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইউনুস খানের ছেলে। এঘটনায় ওইদিন রাতেই বাড়ির মালিক মো. জামাল হোসেনসহ চারজনকে আটক করেছে যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশ।
যাত্রাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুল আলম মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে আদালতের মাধ্যমে আব্দুল্লাহ আল সোহান ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন নিজের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মাসুমা সিদ্দিকা দোলাকে (২৫)। বিয়ের বিষয়টি সোহান ও দোলার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশী কেউ জানতো না।
সবাই তাদেরকে ভালো বন্ধু হিসেবেই জানতো। পরিবারের ভয়ে বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছিলো তারা৷ মঙ্গলবার স্ত্রীকে নিয়ে একসাথে টিএসসিতে ইফতার করেন সোহান। এরপরে স্ত্রীর সাথে তার মনোয়ারা হাসপাতাল সংলগ্ন বাসায় যায় সোহান।
যেহেতু তাদের বিয়ের বিষয়টা কেউ জানতো না, তাই তাদের একসাথে দেখে জেরা করেন বাড়ির মালিক মো. জামাল হোসেন। একপর্যায়ে দোলা বাধ্য হয়ে নিজেদের গোপনে করা বিয়ের কাবিননামা দেখায় জামালকে। কাগজ দেখিয়ে নিজেদের বাসায় চলে যায় তারা।
কিন্তু ওই কাগজ ভুয়া বলে মনে করেন বাড়ির মালিক। তাই কিছুক্ষণ পরেই বাড়ির মালিকসহ ২/৩ জন যুবক তাদের দরজায় করা নারে। দোলা দরজা খুললে সোহানের সাথে আলাদা কথা বলতে চায় বাড়ির মালিক।
দোলা বাধা দেয়, বাড়ির মালিক একটু কথা বলে সোহানকে পাঠিয়ে দেবে বলে আশ্বস্ত করে দোলাকে। একপর্যায়ে জোর পূর্বক দোলার সামনে থেকে নিয়ে যায় সোহানকে। তাকে নিচে নিয়ে প্রথমে টাকা দাবি করেন জামাল ও তার সঙ্গীরা।
টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয়। একপর্যায়ে সোহান তার বোন জামাতা তানজিল অভিকে ফোন করে, নিজেকে উদ্ধার করার অনুরোধ করে।
কিছু সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অভি। সোহানকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহানকে মৃত ঘোষণা করেন।