লম্বা ছুটিতে সন্তানদের সাথে মা-বাবারা বিভিন্নভাবে সময় কাটাতে পারেন। যেমন: এর মধ্যে রয়েছে শিশুদের বাইরে খেলতে নিয়ে যাওয়া কিংবা কোথায় ঘুরতে যাওয়া। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে দীর্ঘ সময়ের জন্য শিশুদের বাইরে ঘুরতে বা খেলতে নিয়ে যাওয়া হিতে বিপরীত হতে পারে। এক্ষেত্রে, মা-বাবারা বাসাতেই সন্তানদের সাথে সময় কাটাতে পারেন। আর বাসাতে সময় কাটানোর অন্যতম এক উপলক্ষ হচ্ছে একসাথে টিভি দেখা। এতে করে যেমন আনন্দে সময় কাটানো যাবে এবং একইসাথে বাচ্চারা শিখতেও পারবে অনেক কিছু।
ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথ ও প্যারিস নতেরে ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মা-বাবা বা অভিভাবকরা যদি শিশুদের সাথে বসে একসাথে স্ক্রিনে কোনো কিছু দেখেন তবে তা শিশুদের মানসিক বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তারা অনেক প্রশ্ন করার ও জানার সুযোগ পায়। পাশপাশি, এতে করে তাদের ধারনার জগতের বিকাশ (কগনিটিভ ডেভেলপমেন্ট) ঘটে। যেমন: তারা তাদের আশপাশকে চিনতে ও বুঝতে শুরু করে এবং নিজেরাই ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করতে শিখে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বন্যপ্রাণি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে কোনো ভিডিও বা তথ্যচিত্র শিশুদের চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে আরও সচেতন করে তুলবে, তাদের মনে নানা জিজ্ঞাসার উদয় হবে। ফোরকে বা এইটকে টেলিভিশনের ঝকঝকে ছবি তাদের জানার আগ্রহ বাড়িয়ে তুলবে। যেমন বলা যেতে পারে, ‘শার্ক উইথ স্টিভ ব্যাকশাল’র কথা। এ শো’তে স্টিভ গভীর সমুদ্রে গিয়ে হাঙ্গরের মুখোমুখি হয়। শো’তে দেখা যায় সমুদ্রের নিচের প্রাণিজগৎ সম্পর্কে জানতে এবং পানির নিচের জগৎ সংরক্ষণে উপায় অনুসন্ধানে স্টিভ গ্রীষ্মমন্ডলীয় উপকূলরেখা থেকে সমুদ্রের আরও গভীরে যাত্রা করেন। ফোরকে টেলিভিশনে স্টিভের এ পুরো যাত্রা অনেক বেশি বাস্তবসম্মত মনে হবে এবং শিশুদের পানির নিচের দুনিয়া সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে তুলবে; তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করবে।
চাইল্ড মাইন্ড ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, শিশুরা যদি তাদের মা-বাবাদের সাথে বসে একসাথে টিভি দেখে, এক্ষেত্রে তাদের মধ্যে যোগাযোগে নতুন ধরন তৈরি হয়; পাশাপাশি, টিভি দেখার সময় মা-বাবা সন্তানদের ওই বিষয় সম্পর্কে বুঝিয়ে বলতে পারেন, সহজ ভাষায় তাদের কাছে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারেন – যা শিশুদের ওই বিষয় বুঝতে এবং এর মাধ্যমে নতুন জিনিস শিখতে উদ্বুদ্ধ করবে।
কিছু মুভি ও টিভি শো’র মাধ্যমে শিশুরা নানা দেশ, সংস্কৃতি ও জায়গা সম্পর্কে জানতে পারবে। এর মাধ্যমে তারা বিশ্বের অন্য দেশ কেমন, সেখানে মানুষ কীভাবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য – এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবে। আবার টেলিভিশনের মাধ্যমে শিশুদের খেলার প্রতিও আগ্রহ তৈরি করা সম্ভব। যেমন খেলা বিষয়ক অনুষ্ঠান দেখার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন খেলা সম্পর্কে জানতে পারবে এবং বড় বড় টুর্নামেন্ট সম্পর্কে তাদের জ্ঞানের পরিসর বৃদ্ধি পাবে। বড় স্ক্রিন ও শক্তিশালী সাউন্ড সিস্টেম তাদের খেলা দেখার অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে – এর মাধ্যমে ক্রিকেট, ফুটবল সহ অন্যান্য খেলার বিষয়ে তাদের আগ্রহ বাড়বে। খেলা বা খেলা নিয়ে কোনো শো দেখার সময় মা-বাবারা শিশুদের সাথে ওই নির্দিষ্ট খেলা ও খেলোয়ার নিয়ে মজার বিভিন্ন তথ্য বলতে পারেন।
তথ্যচিত্র, মুভি, অ্যানিমেশন ও টিভি শো ফোরকে বা এইটকে টেলিভিশনের স্ক্রিনে দেখতে আরও বেশি প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় হবে। এক্ষেত্রে, কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকসে স্বনামধন্য ও বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ব্যান্ড স্যামসাং -এ রয়েছে নানা মডেল ও ফিচারের টেলিভিশন। তাদের টিভির বিভিন্ন মডেলের কিউএলইডি ও ইউএইচডি ফোরকে টিভি এইচডি কনটেন্ট উপভোগকে করবে আরও আকর্ষণীয়; পাশাপাশি এস.ডি বা এইচ.ডি ভিডিও কিংবা ডিস চ্যানেলের ভিডিওকে ফোর কে রেজ্যুলেশনের কাছাকাছি মানে উন্নীত করে । এছাড়াও তাদের টিভির নতুন সংস্করণ কোয়ান্টাম ম্যাট্রিক্স টেকনোলজি প্রো’র নিও কিউএলইডি এইটকে টেলিভিশন, যা টিভিতে কনটেন্ট উপভোগে দিবে অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা – স্পষ্ট দেখা যাবে সব ডিটেইল। সাধারণ কোয়ান্টাম ম্যাট্রিক্স টেকনোলজির তুলনায় একদম কালো কিংবা সম্পূর্ণ সাদা স্ক্রিনে থাকবে দেড় গুণ বেশি লাইটিং জোন।
হাই-ডেফিনিশন টিভিতে বাচ্চাদের উপযোগী কনটেন্ট তাদের জ্ঞানের পরিসর বৃদ্ধি ও বিকাশে বিকাশে যেমন সহায়ক ভূমিকা রাখবে, তেমনি সামাজিক ও পরিবেশগত বিষয়েও তাদের সচেতন করে তুলবে। আবার একইসাথে, উপভোগ্য কনটেন্ট একসাথে বসে দেখার মাধ্যমে মা-বাবারাও তাদের সন্তানদের সাথে উপভোগ্য সময় কাটাতে পারবেন। তবে, মা-বাবা ও অভিভাবকদের এটাও মাথায় রাখতে হবে, শিশুরা যেনো অতিরিক্ত সময় টিভি দেখে অতিবাহিত না করে এবং তারা যেনো খেলাধুলা ও অন্যান্য শারীরিক কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করে।