হঠৎ যদি আপনার চিন্তা ভাবনা করার শক্তি হারিয়ে যায়! তবে কী হবে? বা ধরুন কোনো পরীক্ষায় উত্তর দেয়া তো দূরের কথা প্রশ্নগুলো বুঝতেই অক্ষম হচ্ছেন তবে কেমন মনে হবে? আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এমনই হতে চলেছে মানুষের সাথে। কিন্তু কেন মানুষের এই অবস্থা হতে চলেছে সে বিষয়ে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা।
মার্কিন গবেষকরা জানিয়েছেন যে প্রযুক্তির অত্যধিক ব্যবহারের ফলে মানুষের চিন্তাভাবনা ও বোঝার ক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে এবং এক দশক বা তার কিছু সময় পরে মানুষের চিন্তা ভাবনা সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে যাবে।
আমেরিকার থিঙ্ক ট্যাঙ্ক পিউ রিসার্চে এ বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালায়। সমীক্ষায় জানা যায় যে প্রযুক্তি নিজেই হয়ে উঠবে মানুষের মনের সবচেয়ে বড় শত্রু। মানুষ প্রযুক্তির উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে গবেষকরা বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যা আজ মানুষের জন্য খুবই সুবিধাজনক বিষয় হিসেবে বিবেচিত এই এআই বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলেজেন্সই মানুষের সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা তৈরি করবে।
পিউ রিসার্চের সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, মাত্র ১২ বছরের মধ্যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষকে খুব খারাপভাবে প্রভাবিত করবে এবং মানুষ যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম হবে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩৫ সাল নাগাদ মেশিন, সিস্টেম ও বটের ব্যবহার খুব দ্রুত বাড়বে। মানুষ তার ছোট-বড় জিনিসের জন্য তাদের ওপর নির্ভর করতে থাকবে এবং তার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা একেবারেই লোপ পেতে শুরু করবে।
সূত্র : নিউজ ১৮