অস্ত্র হালনাগাদের পেছনে বিশ্বের পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর ব্যয় এক বছরের মধ্যে আটগুণ বেড়েছে। ২০২১ সালে পরমাণু শক্তি সম্পন্ন নয়টি দেশের মোট ব্যয় ছিল ৮২.৪ বিলিয়ন ডলার, যা এর আগের বছরের চেয়ে আটগুণ বেশি।
আজ বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবলিশ নিউক্লিয়ার উইপনস (আইসিএএন) বার্ষিক প্রতিবেদনে বলেছে, নয়টি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যয়কারী দেশ হিসেবে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। পরের অবস্থানে রয়েছে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, যেখানে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ করাকে সমর্থন করছে, সেখানে কয়েকটি রাষ্ট্র ২০২১ সালে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের জন্য প্রচুর পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে। এই ব্যয় ইউরোপে চলমান একটি যুদ্ধ রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। নষ্ট করেছে মূল্যবান সম্পদ।
এছাড়াও পরমাণু অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশগুলো প্রতিরক্ষার জন্য লাখ লাখ ডলার লবিং খরচ করেছে বলেও জানায় আইসিএএন।
এর আগে সোমবার স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ (এসআইপিআরআই) নয় দেশের অস্ত্র হালনাগাদের বিষয়টি ‘হুমকি’ হিসেবে বিবেচনা করেছে। এমনকি গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার আগে প্রকাশ্যে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছিল রাশিয়া।
আইসিএএন বলছে, ২০২১ সালে পরমাণু অস্ত্রের জন্য ৬৪২ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে উত্তর কোরিয়া। তবে পরমাণু অস্ত্র বা অস্ত্রাগারের জন্য দেশটির যে পরিমাণ ব্যয় আইসিএএনের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, তার কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা নেই। যদিও এসআইপিআরআই বলছে দেশটিতে ২০টির মতো ওয়ারহেড রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে অস্ত্র হালনাগাদের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ৪৪.২, চীন ১১.৭, রাশিয়া ৮.৬, যুক্তরাজ্য ৬.৮, ফ্রান্স ৫.৯, ভারত ২.৩, ইসরায়েল ১.২, পাকিস্তান ১.১ এবং উত্তর কোরিয়া ৬৪২ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।