শুক্রবার, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

জন্ম হোক যেথায় কর্ম হোক ভাল

মিজানুর রহমান মুন্সী, ইতালী  থেকে
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২
  • ১৪৬ বার পঠিত
জন্ম হয়েছিল  আলম নামে কিন্তু কর্মগুনে হিরো হয়ে হিরো আলম নামে ভাইরাল হলেন সোসাল মিডিয়াতে। এমন ব্যাক্তিকে নিয়েই আজকের লেখা….
কর্মজীবনে ডিস লাইনের ব্যাবসা দিয়ে জীবন্যাত্রা শুরু হলেও লেখা পড়া না যানা আলম কি ভাবে সাংস্কৃতিজগতে হিরো বনে গেলেন সে রহস্য আজ অবধি আমি খুজে পাই না।
এই ভদ্রলোককে নিয়ে দীর্ঘ্যদিন আমার কৌতুহল, যার কোন একাডেমিক্যাল শিক্ষা নেই অথচ শিক্ষাহীন অবস্থায় এতটা যোগ্যতার মাফ কাঠিতে উঠে চ্যালেঞ্জ দিয়ে সারা মিডিয়া জগৎকে কাপাচ্ছে।
এফ ডিসি পারায় গেলে তার গেট পার হতে ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে যায়। অথচ তিনি কোন এফডিসির সদস্য নন।একটু সেল্ফি  কিংবা দেখার জন্য উপচে পরা ভীরে কৌতুহলকে আরো রহস্যময় করে তুলে। এ সব দেখে দেখে এ হিরোকে নিয়ে একা একা অনেক গবেষনা করি কিন্তু এ রহস্যের জট আজবধি  খুলতে পারি নাই।
সম্প্রতি ডিবি কার্যলয় ডেকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সদ্য ডিবি প্রধান হিসাবে নিয়োগ পাওয়া হারুন সাবের বক্তব্যতে বুঝতে পারলাম আসলেই আলম হিরো। কারন মুচলেখা দিয়ে ডিবি অফিস থেকে বের হয়ে লাইভে বললেন আর কোন অশ্লিল কন্টেন্ট বানাবেন না রবিন্দ্র সংগীত গাইবেন না পুলিশের পোশাক পরে অভিনয় করবেন না কারন এ সব ছিল তার বিরুদ্ধে সু নিদৃষ্ট অভিযোগ।
কিন্তু বেশ কিছু বছর যাবত হিরো আলম যা করছে তাই মানুষে দেখছে শুনছে এবং অগনিত ভিউয়ার তার ভিডিয়তে লাইক কমেন্ট করেছে।
হিরো আলম কথা বলার সময় উচ্চারনে যথেষ্ঠ ভুল করেন গলাও ভাল না কিন্তু প্রতিভার শেষ নেই তাই বুঝলাম না রবিন্দ্র সংগীত গাওয়ায় তার অপরাধ কোথায়?
হিরো গাইল অপরাধ হল কিন্তু মাফুজ ভাই যে গায় তা হলে তার কি হবে?
তা ছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সুর তাল কন্ঠকে ব্যাংগ করে গেয়ে বিনোদন দেয় তা হলেত তারাও মুচলেখার
আওতায় পরবে?
আলমের রাজনীতি;
হিরো আলম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সদস্য পদে লরে হেরে গিয়ে নানা নাটকিয়তার পরে হাই কোর্টের রায় নিয়ে পার্লামেন্ট মেম্বার নির্বাচন করেছেন। হেরে গেছেন এটা বিষয় নয় কিন্তু ১৮ সালে রহস্যময় নির্বাচনে আলমের নির্বাচনে রহস্য কম ছিল না।সংবাদের সিরোনামেও ছিলেন হিরো হয়ে আলম।
রাস্তাঘাটে পালা গান গেয়ে যদি পার্লামেন্টের মেম্বার হয়ে পার্মামেন্ট অধিবেশনে গান গাওয়া যায় গঠনমুলক আলোচনায় সময় না দিলেও স্পিকার নিজ থেকে গান শুনার জন্য সময় বারিয়ে দেন আর গান শুনে প্রধান মন্ত্রী টেবিলে হাত চাপরিয়ে সমর্থন দেন তা হলে হিরো আলম আশা করতে দোস কোথায়?
আজ হিরো আলম মাফুজ সেফাতুল্লাদের আবির্ভাব সময়ের উপযোগি। কারন ———-
সেফাতুউল্লাহ একজন শিক্ষিত দেশান্তর তাকে সকলে পাগলা সেফুদা হিসাবেই জানে, আমি মনে করি এ যুগে সেফাতুল্লা আল্লাহর প্রদত্ত মহা মানব।
বাংলাদেশ আমার জন্ম দেশ সেখানে যা হচ্ছে তার জবাব দেয়ার সাহস কেউ রাখে না, যে ভাষায় জবাব দেয়া দরকার সে ভাষা কিংবা শব্দবোমা কারো জানা নেই আর জানা থাকলেও সে শব্দ বোমা নিক্ষেপ করার সাহস কেউ রাখে না।  যে অন্যায়ের প্রতিবাদ হবে তা কেউ শুনে না তাই রাগে যে ভাষা প্রয়োগ দরকার তা সকলে পারে না যা সেফু দা পারে।
আলম একটা রহস্যময় প্রানী সেফাতুল্লা শেষমেশ পুত্রসমতুল্য সন্মান দিয়ে অনেক কন্টেন করেছেন যা ভাইরাল কম হয় নাই।

হিরো আলমের ‘পুষ্পা’ গানে নাচলেন সেফুদা (ভিডিও)

সেফু দার পুত্র হিরো আলম শিল্পি বলেন কিংবা অভিনেতা গায়ক কিংবা রাজনৈতিক নেতা বলেন সব ঠিক আছে, যে দেশে নিজস্ব সংস্কৃতি বাদ দিয়ে পার্শবর্তি দেশের সংস্কৃতির ব্যাবহার  করে কিছু লোকে দেশের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে তাদের কাছে হিরো আলম উপহার।

একসময় সিনেমা জগতে নায়ক নায়িকা যাদের কোয়ালিটি ছিল আর তাদের দারা ছবি রিলিজ হলে সিনেমা হলগুলো দর্শকের ভীরে তিল পরিমান ঠাই থাকত না। আর আজ পার্শবর্তি রাষ্ট্রকে সুজোগ দিয়ে বাংলাদেশ চলচিত্রকে ধংশ করে ফেলা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে আলমেরা হিরোতে রুপান্ত্রিত হয়েছে।
এক সময়ের বাউল পল্লিগীতি লোকসংগীত আব্দুল হাদি রুনালায়লা ফকির আলমগির আশির দশকেত প্রথম অডিয় এলবামের শিল্পি এম এ সোয়েব যাদের গান শুনে শুনে বড় হয়েছি অথচ ভারতের শিল্পি এনে কোটি টাকায় এ দেশে মঞ্চ তৈরি করা হয় ।  এম এ সোয়েবরা দেশ ছেরে বিদেশ পরে রয় অথচ তাদের সংরক্ষনে সন্মানে কোন ব্যাবস্থা মুল্যায় নাই।এ সব সংরক্ষন না করে এ মাঠে ভারতের শিল্পিদের ঠাই করে দেয়া হয়েছে তাইত মাফুজেরা গায় বিরক্তি হলেও শুনি আলমেরা গেয়ে হিরো হয়  আর আমরা অবাক হয়ে দেখি কিংবা শুনি।
রাজনীতি আলু পোটলের ব্যাবসা।যে যেভাবে করে ট্রেড লাইসেন্স লাগে না। রাজনীতিতে একাডেমিক্যাল কোন ইনুস্টিটুউশন নাই তাই হিরো মমতারা পার্লামেন্টে বসার স্বপ্ন অবান্তর কিছু নয়।
বর্তমান খবর খুললে রাজনীতিবিদের কথার লাগাম শুনলে হিরো আলমদের অনেক ভাল মনে হয় বলেই মনে হয়।
দীর্ঘ্যদিন পর আলমের হিরো হওয়া মাফুজের গায়ক হওয়া সেফু দার  শব্দবোমা বিজ্ঞানিক হয়ার রহস্য পেয়ে অনেকটা চিন্তা মুক্ত হয়েছি।
তবে আসল জট এখনো রয়ে গেল আমার জন্ম দেশ বাংলাদেশে প্রশাসনিক বিভাগেত শিক্ষিত লোকেরা দায়িত্ববান পদে থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন কিন্তু হিরো আলম আর সেফু দা দের নিয়ে এত সময় নষ্ট করছেন, যা না করে উন্নয়ন কিংবা ভাল কাজে মননিবেষের মাধ্যমে জাতীর কল্যান আসে। দেশে অনেক কিছু করার আছে সে দিকে মনোযোগি হবার জন্য অনুরোধ করছি কর্মদেশ ইতালী  থেকে মিজানুর রহমান মুন্সী

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com