ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে কমনওয়েলথ গেমসের পর্দা উঠছে আজ। কমনওয়েলথ গেমসের ২২তম আসর এটি। চার বছর পর পর কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর অ্যাথলেটরা এই ক্রীড়াযজ্ঞে অংশ নেন। এবারের আসরে ২০টি ডিসিপ্লিনে ৭২ দেশের পাঁচ হাজারের বেশি অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছেন। আগামী ৮ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই গেমস। ২০২২ কমনওয়েলথ গেমসের মূল ভেন্যু ৩০ হাজার দর্শকসম্পন্ন অ্যালেক্সজেন্ডার স্টেডিয়াম। এখানেই আজ বর্ণিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ ক্রীড়াযজ্ঞ শুরু হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বার্মিংহামের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে। বার্মিংহামভিত্তিক নতুন ওয়েব ব্যান্ড ‘ডুরান ডুরান’, জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘ব্ল্যাক সাবাথ’ পারফর্ম করবে। স্থানীয় ব্যান্ডের পাশাপাশি সোয়েতো কিঞ্চ, ইন্ডিগো মার্শালরাও পারফর্ম করবেন। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১২টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রানী এলিজাবেথের পুত্র চার্লস উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এবারের কমনওয়েলথ গেমসে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মার্চপাস্টে বাংলাদেশের পতাকা বহন করবেন এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। আজ থেকে শুরু হওয়া গেমসে মোট ৭টি ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা অংশ নিচ্ছেন। কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে বার্মিংহামে গেছেন বক্সার হোসেন আলী, সুর কৃষ্ণ চাকমা ও সেলিম হোসেন, জিমন্যাস্ট শিশির আহমেদ ও আবু সাইদ রাফি, সাঁতারু আসিফ রেজা, সুকুমার রাজবংশী, সোনিয়া খাতুন, মাহমুদুন নবী নাহিদ ও মরিয়ম আক্তার, ভারোত্তোলক মারজিয়া আক্তার ইকরা, মাবিয়া আক্তার সীমান্ত, মনিরা কাজী ও আশিকুর রহমান, টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মোহতাসিন আহমেদ হৃদয়, রিফাত মাহমুদ সাব্বির, মুফরাদুল খায়ের হামজা, রামহীম রিয়ন বুম, সোনাম সুলতানা সোমা ও সাদিয়া রহমান মৌরা। অ্যাথলেটিকস, বক্সিং, জিমন্যাস্টিকস, সাঁতার, ভারোত্তোলন, কুস্তি ও টেবিল টেনিস- এই সাত ডিসিপ্লিনে অংশ নেবে বাংলাদেশ। অ্যাথলেটদের সঙ্গে ২১ সদস্যের অফিসিয়াল স্টাফও বার্মিংহামে গেছেন। এই দলের নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইংল্যান্ডে পৌঁছেছেন। অন্যদিকে প্রবাসী জিমন্যাস্ট আলী কাদের হক নিউজিল্যান্ড থেকে তার কোচ ডেভিড মাইকেলকে নিয়ে বার্মিংহাম পৌঁছে গেছেন।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেছেন, কমনওয়েলথ গেমসে শুটিং ও আরচারি ইভেন্ট না থাকায় পদকের সম্ভাবনা কিছুটা কম বাংলাদেশের। তবে জিমন্যাস্টিকস ও অ্যাথলেটিক্সে ভালো করার প্রত্যাশা। অ্যাথলেটিক্স ও জিমন্যাস্টিক্সে বিদেশি কোচ প্রশিক্ষণ দেওয়ায় ক্রীড়াবিদদের মান বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুটি ইভেন্ট ঘিরে পদকের আশায় বাংলাদেশ।