কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোট গণনার সময় নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
সবশেষে ফলাফল অনুযায়ী, ১০৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি কেন্দ্রের ফলাফলে সাক্কু পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৪৯২ ভোট। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিফাত পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৮৬৩ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র আরেক প্রার্থী নিজামউদ্দিন কায়সার ২৮ হাজার ৪৪২ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে এবার মেয়র পদে লড়েন পাঁচজন। নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক (রিফাত), টেবিলঘড়ি নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ও সিটির সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক (সাক্কু), ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার, হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. রাশেদুল ইসলাম ও হরিণ প্রতীক নিয়ে কামরুল আহসান বাবুল।
এদিন সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
কুমিল্লা সিটির পাশাপাশি পাঁচটি পৌরসভা, চারটি উপজেলা পরিষদ এবং দেড় শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। তবে কুমিল্লার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, পুরুষের চাইতে নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি। নির্বাচন চলাকালে কোথাও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। আর হিজড়া ভোটার দুই জন। মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট নেওয়া হয়।
এ নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাক্কু এর আগে দুই দফায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। তার আগে ছিলেন কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান। ২০০৫ সালের পর কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি তিনি। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক এবারই প্রথম নির্বাচন করছেন। আরেক স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনও প্রথমবারের মতো নির্বাচন করছেন।