ঈদুল ফিতর উদযাপনে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। সকালে কমলাপুর থেকে ঈদযাত্রা শুরুর দিনেই শিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে কয়েকটি ট্রেন। অন্যদিকে বাস ও লঞ্চে খুব বেশি ভিড় নেই। নৌযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ডাবল ট্রিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিটিএ।
ট্রেনে আগাম টিকিট যারা কিনেছেন, বুধবার ভোর থেকেই তারা কমলাপুর রেলস্টেশনে আসেন। পথের ভোগান্তি এড়াতে আগেভাগের এ যাত্রা যেন ঈদের আগেই আরেক ঈদ। তবে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়েছে প্রায় দেড়ঘন্টা দেরিতে। অন্য গন্তব্যের ট্রেনগুলোও সিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে কমপক্ষে আধাঘন্টার। যদিও তাতে খুব বেশি খেদ নেই যাত্রীদের।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, রেলের ডাবল লাইন সব জায়গায় না থাকায় সিডিউলের এই গড়বড়। তবে ঈদের বাড়তি চাপ সামলেও সেবা দিতে চান তারা। লাইনে দাঁড়িয়ে ১ মে’র টিকেট কিনেছেন অনেকে। চাঁদদেখা সাপেক্ষে ২ মের টিকেটও বিক্রি করবে রেল কর্তৃপক্ষ।
বাস কাউন্টারগুলোতে এখনও বাড়েনি যাত্রীচাপ। তবে পথের বাড়তি ঝামেলা এড়াতে অনেকেই ছুটছেন আগেভাগেই।
এদিকে, দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের যাত্রীদের প্রধান মাধ্যম লঞ্চ। তবে, চাপ কম থাকায় অনেক লঞ্চ অল্প যাত্রী নিয়েই ছেড়ে যাচ্ছে।
লঞ্চ কতৃপক্ষ বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রী চাপ বাড়বে।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ঈদে নৌযাত্রা সফল করতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে না যাওয়ার অনুরোধও জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।