ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা যৌথ বিবৃতি দিয়ে বিবিসির একটি তথ্যচিত্রের সমালোচনা করেছেন। গণমাধ্যমের তথ্যচিত্র নিয়ে এ ধরনের বিবৃতি দেওয়ার ঘটনা বিরল। বিবিসির ওই তথ্যচিত্রে প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেল রাজপরিবারের দায়িত্ব ছাড়ার আগে গণমাধ্যম সামলানোর দায়িত্ব নিয়ে নেপথ্যের দৃশ্য তুলে আনার দাবি করা হয়েছে।
হ্যারি এবং তাঁর বড় ভাই উইলিয়াম কীভাবে গণমাধ্যম সামলেছিলেন তা নিয়ে দ্য প্রিন্সেস অ্যান্ড দ্য প্রেস শিরোনামের তথ্যচিত্রে আলোচনা করা হয়েছে। দুই পর্বের তথ্যচিত্রের প্রথম পর্ব স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার রাতে প্রচার করা হয়। তাতে প্রিন্স হ্যারিকে গণমাধ্যমের প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করতে দেখা যায়। ২০১৬ সাল থেকে মার্কিন অভিনেত্রী মেগানের সঙ্গে ডেটিং শুরু করার পরে মেগানের সমালোচনামূলক প্রচার আরও খারাপ হতে শুরু করে।
তথ্যচিত্রে আরও বলা হয়েছে, শুরুতে হ্যারি–মেগানের জনপ্রিয়তা থাকলেও রাজপ্রাসাদের ভেতরে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের কারণে প্রাসাদ অভ্যন্তরের লোকজন গণমাধ্যমে নেতিবাচক খবরের সূত্র হয়েছেন।
এ তথ্যচিত্র প্রচারের পর রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রিন্স চার্লস ও উইলিয়াম ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এ তথ্যচিত্র প্রচারের আগে তাঁদের দেখাতে অস্বীকৃতি জানায় বিবিসি।
বাকিংহাম প্যালেস, ক্লিয়ারেন্স হাউস ও কেনসিংটন প্যালেসের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য একটি মুক্ত ও দায়িত্বশীল সংবাদপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রায়ই অজানা সূত্র থেকে ভিত্তিহীন ও অতিরঞ্জিত দাবি করা হয় এবং তথ্য হিসেবে তা উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু যখন বিবিসিসহ অন্য কেউ তা বিশ্বাসযোগ্যতা দেয়, তখন তা হতাশাজনক।
তথ্যচিত্রে প্রাসাদ কর্মীদের ওপর মেগানের কথিত উত্পীড়নের বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে একজন আইনজীবীর সাক্ষাত্কারও রাখা হয়েছে। অবশ্য তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
বাকিংহাম প্যালেস বলছে, অভ্যন্তরীণভাবে তারা এই অভিযোগ তদন্ত করছে।
মিডিয়ার উৎপীড়নের কথা বলে হ্যারি এবং মেগান গত বছর রাজকীয় জীবন ছেড়ে দেন। এখন তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ভুয়া তথ্য ছড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুজন এখন উচ্চকণ্ঠ।
তাঁরা প্রকাশ্যে ব্রিটেনের রাজপরিবারের সমালোচনা করেছেন। এর মধ্যে একজন অজ্ঞাতনামা জ্যেষ্ঠ সদস্যের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগও রয়েছে।