৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তৌহিদ। গত ১৬ জুন সিলেটের যতরপুর এলাকার তাদের বাড়ি তলিয়ে যায় বন্যার পানিতে। ভেসে যায় ঘরের মালামাল। রক্ষা পায়নি তার বইপত্রও। পানিতে ভেসে যাওয়ার সময় কয়েকটি বই
সিলেটসহ সাব জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তবে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে বন্যার প্রভাবে নানা রোগ ও বন্যা সৃষ্ট দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং
সিলেট-সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। জেলা প্রশাসনের হিসেবে ৯০ শতাংশ মানুষ বাড়িতে ফিরেছেন। কিন্তু বাড়ি ফিরেও কষ্টের শেষ নেই। খাওয়ার ব্যবস্থা নেই, ক্ষতিগ্রস্ত ঘর সংস্কারে এখন তাদের
পানি কমলেও সিলেটের বন্যা দুর্গত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা এখনও পুরোপুরি সচল হয়নি। প্রত্যন্ত এলাকার বেশিরভাগ কমিউনিটি ক্লিনিক এখনো বন্ধ। বিদ্যুৎ ছাড়াই সীমিত পরিসরে চলছে থানা সদরের কিছু হাসপাতাল। করোনার টিকা ছাড়াও
বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং নদ-নদীর পানি কমায় দেশের প্রায় সব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও তার ক্ষত রয়ে গেছে। দুর্ভোগ কমেনি বানভাসিদের। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে
দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার কারণে ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল পর্যন্ত) অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৩ জনে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, নতুন মৃতদের মধ্যে
বন্যার্তদের সাহায্য করার জন্য সিলেটে একজন ডাক্তারও নেই অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার শুধু উন্নয়ন উন্নয়ন করে। উন্নয়ন- কিসের উন্নয়ন। মানুষকে সাহায্য করার জন্য এখানে
সিলেটসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার পানি কমা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। একই সাথে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণের জন্য চলছে হাহাকার। সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ চললেও বেশির ভাগ
বন্যার পানিতে ডুবে গেছে দেশের একটি বিরাট অঞ্চল। দিন দিন বানভাসী মানুষের সংখ্যা বাড়ছেই। বানভাসী এ মানুষেরা নানান ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত। তারা ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়সহ নানান ধরনের পেটের পীড়া,
কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙে নতুন করে লোকালয়ে পানি ডুকছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বালিঙ্গা এলাকায় কুশিয়ারা নদীর নতুন করে দুটি স্থানে ডাইক ভেঙে গেছে। এতে শেওলা ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম