সারাদেশে শিশু-কিশোরদের বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে এ কর্মসূচি শুরু হবে ১২ অক্টোবর থেকে। সারাদেশে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু-কিশোর এ টিকা পাবে।
টিকাদান কর্মসূচির আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশু ও কিশোর-কিশোরী টাইফয়েডের টিকা পাবে। বিনামূল্যের এই টিকা পেতে এরইমধ্যে অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়েছে।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির ব্যবস্থাপক শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘টাইফয়েডের এই টিকা দেওয়া হবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে বিদ্যালয়ভিত্তিক ক্যাম্পে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে, যারা বিদ্যালয় ক্যাম্পে টিকা নিতে পারেনি, তারা পরবর্তীতে ইপিআইয়ের টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে।’
তার ভাষ্য, ‘স্কুল এবং আমাদের সারাদেশের টিকাদান কেন্দ্রে দেওয়া হবে এই টিকা। এক ডোজের ইনজেকশনে দেওয়া হবে এই টিকা, যা ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে।’গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স এই টিকা সরবরাহ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘টিকাগুলো কেনা হয়েছে ভারত থেকে। এরইমধ্যে সব টিকা চলে এসেছে।’
এই টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না, টিকা দেওয়ার আগে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ হবে কি না জানতে চাইলে শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘টিকাগুলো কেনে গ্যাভি, তাদের সুবিধামতো দেশ থেকে কিনে দেয়। টিকাগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী তৈরি করে দেয়। এটা শতভাগ পরীক্ষিত টিকা। আমাদের উপমহাদেশের নেপাল, পাকিস্তান ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশে এই টিকাদান শুরু হয়েছে।’
সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে টাইফয়েড আক্রান্ত হয়। এই ব্যাকটেরিয়া দূষিত খাবার বা পানি থেকে ছড়ায়।