মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে নিহত লামিয়া আক্তার সোনিয়াকে চোখের জলে বিদায় জানিয়েছে এলাকাবাসী ও স্বজনরা। তার মৃত্যুতে শোকার্ত এলাকাবাসী। অশ্রু সজল নয়নে স্বজনরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাবার বাড়ি সাভারের বিরুলিয়ার ভাগ্নির বাড়িতে দাফন করা হয় তাকে।
এর আগে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে সনাক্ত করা হয় পুড়ে যাওয়া লামিয়া আক্তার সোনিয়ার মরদেহ।
সোনিয়া বাবা সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন জানান, মাইলস্টোন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মেয়ে জায়রাকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন লামিয়া। দুর্ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর জায়রাকে অক্ষত অবস্থায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে তুলে দিলেও নিখোঁজ ছিলেন লামিয়া।
ঘটনার পর দুর্ঘটনাস্থলে লামিয়ার এনআইডি কার্ড কুড়িয়ে পান এক ব্যক্তি। তিনি জানান, লামিয়াকে দগ্ধ অবস্থায় সেনাবাহিনীর এক অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেওয়া হয়েছিল মরদেহের পরিচয় শনাক্তের পর বাবুল বলেন, ‘লামিয়াকে এভাবে হারাব তা কখনো কল্পনাও করিনি।’
উল্লেখ্য, লামিয়া উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরে স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকতেন। সংসারের কাজের ফাঁকে প্রতিদিন স্কুল থেকে জায়রাকে আনা-নেওয়া ছিল তার নিত্যদিনের কাজ।
তার স্বামী আমিরুল ইসলাম জনি বলেন, ‘এতদিন স্ত্রীকে খুঁজে পেতে আমরা পাগলপ্রায় ছিলাম। মেয়ে জায়রা মাকে খুঁজতে থাকে। তাকে কোনো জবাব দিতে পারি না।’