সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলংকাকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় লিটন দাসের দল। ফলে আজ তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে—এই ম্যাচের জয়ী দলই ঘরে তুলবে সিরিজ।
এই ম্যাচকে সামনে রেখে টাইগার শিবিরে উঁকি দিচ্ছে ইতিহাস গড়ার সুযোগ। এর আগে কখনও শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। আজ জিতলেই প্রথমবারের মতো সেই সাফল্যের স্বাদ পাবে টাইগাররা।
দ্বিতীয় ম্যাচের জয় দলের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়েছে বলে জানালেন ব্যাটার শামীম হোসেন। তিনি বলেন, “দ্বিতীয় ম্যাচে জয় আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। এখন সিরিজ জয়ের ভালো সুযোগ আমাদের সামনে। চেষ্টা করব আগের ম্যাচের মতোই খেলতে।”
প্রতিপক্ষ লংকানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত খেলেছে মোট ১৯টি ম্যাচ, জিতেছে ৭টিতে, হেরেছে ১২টি। পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজে অংশ নিয়ে মাত্র একবারই সিরিজ ড্র করতে পেরেছে টাইগাররা—২০১৭ সালে শ্রীলংকায় দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ ব্যবধানে শেষ হয়েছিল।
চলমান সফরের শেষ ম্যাচ এটি। এর আগে বাংলাদেশ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হারে ১-০ ব্যবধানে, আর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হারে ২-১ ব্যবধানে। সফরের শেষটা রাঙাতে এবার টাইগারদের লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়।
তবে ব্যাটিং নিয়ে এখনও কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে। প্রথম ম্যাচে ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে টেনে তুলেছেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৫০ বলে ৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে দলকে পথ দেখান তিনি। লিটন ফিরেছেন ১৩ ম্যাচ পর ফিফটির দেখা পেয়ে। তার সঙ্গে জুটি গড়ে ২৬ বলে ৪৮ রান করেন শামীম হোসেন। ৭৮ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর দুজনের ৩৯ বলে ৭৭ রানের জুটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
শেষ ম্যাচেও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির জয়ী একাদশ নিয়েই মাঠে নামার সম্ভাবনা বেশি বাংলাদেশের। সিরিজ জয়ের জন্য আগের ম্যাচের মতোই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যেতে চায় টাইগাররা।