বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে প্রথম দিন থেকেই দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে। এজন্য বিশেষজ্ঞ দল প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভেটেরিনারি সায়েন্স, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি— সব খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করাই হবে নতুন বাংলাদেশের লক্ষ্য।
মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ, সিভাসুর পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুদ্দিন, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম ও পরিচালক (পিআরটিসি) অধ্যাপক ড. একেএম হুমায়ুন কবির। স্বাগত বক্তব্য দেন সিভাসুর প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন জুলাই আন্দোলনে আহত সিভাসুর ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাহাত বিন জাহাঙ্গীর।
এ সময় আমীর খসরু বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ধ্বংস করে এককভাবে রাজত্ব কায়েম করেছিল। আমাদের গণতন্ত্রকে পরিপূর্ণভাবে ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য মনমানসিকতা বদলাতে হবে, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে, ভিন্নমতের প্রতি সম্মান জানাতে হবে।
শেখ হাসিনার সরকারের পতন ‘অনিবার্য’ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে মানুষ নিগৃহীত হয়েছে, অবিচারের শিকার হয়েছে। ৬০-৭০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, কয়েক হাজার মানুষ গুম-খুন হয়েছে, পুলিশের হেফাজতে ও চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। গত ৫ আগস্ট আমি নিজেও কারাগারে বন্দি ছিলাম।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য অধ্যাপত ড. লুৎফুর রহমান বলেন, তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তোমরা যদি হেরে যাও, বাংলাদেশ হেরে যাবে। রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব, আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব তোমাদেরই নিতে হবে। তোমরাই গণতন্ত্রের স্থায়ী রূপ দিতে পারবে। সেটি সম্ভব হলে বাংলাদেশ হবে সুস্থ, সুন্দর, স্বাধীন ও নিরাপদ। তখনই জুলাই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।