এ ঘটনায় বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মানিক, বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার ও বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মানিককে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে জেলা বিএনপি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিএনপি নেতা ইসতিয়াক বাবুর কাছ থেকে চুক্তিপত্রের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকার একটি দোকানঘর ভাড়া নিয়েছিলেন জাহিদুল নামের এক ব্যক্তি। চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ না হলেও অজ্ঞাত কারণে তাকে দোকানঘরটি ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি দোকানঘর ছেড়ে না দেয়ায় মালিকপক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকদিন আগে ভাড়াটিয়ার দোকান ভাংচুর করে তাকে বের করে দেয়। এ নিয়ে গতকাল সকালে জাহিদুল তার ভাড়া নেয়া দোকানঘর ভাংচুরের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধনের আয়োজন করে। কিন্তু মানববন্ধন শুরু হওয়ার আগেই দোকান মালিকের পক্ষে সাবেক এমপি, জেলা ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার এবং উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মানিকের প্রায় দুই শতাধিক লোকজন এসে মানববন্ধনের ব্যানার ফেস্টুন ও প্রচার মাইক ভেঙে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর ভাড়াটিয়া জাহিদুল ইসলামের পক্ষে বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম মানিকের নেতৃত্বে দুই শতাধিক লোকজন এলে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে লাবলু মিয়া (৫০), শফিকুল ইসলাম (৪৫), মোন্নাফ মিয়া (৫৫), ময়নাল হোসেনকে (৩৬) উদ্ধার করে প্রথমে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাবলু মিয়া মারা যান। লাবলু বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর রাজারামপুর এলাকার মহসিন আলীর ছেলে। এদিকে সংঘর্ষ চলাকালীন বদরগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের বারান্দায় অবস্থান নিলে সংঘর্ষকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিক ফুয়াদ হাসান, নুরুন্নবী নুরু, সাইফুল ইসলাম মুকুলকে মারধরসহ তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
লাবলু মিয়ার মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান।
বদরগঞ্জ থানার ওসি একেএম আতিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত রয়েছে।’