বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু গুহকে জিম্মি করে টিআর কাবিখা”র ২০টির অধিক প্রকল্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায় করে নিয়েছেন উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রুবেল গোমস্তা।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোঃ রুবেল গোমস্তা তার ৭/৮ জন সহযোগীকে নিয়ে ৩/৪টি মোটরসাইকেল যোগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সৈকত গুহ পিকলু”র বাড়িতে গিয়ে তার বাসভবনে ঢুকে তাকে জিম্মি করে টিআর কাবিখা’র ২০টির অধিক প্রকল্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায় করে নেয়।
ঘটনার ব্যাপারে চেয়ারম্যান পিকলু গুহ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তবে এ সময় তাকে বেশ আতঙ্কিত দেখা যায়।
চেয়ারম্যান পিকলু গুহ’র ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, রুবেল গোমস্তার নেতৃত্বে তার সহযোগীরা চেয়ারম্যান পিকলু গুহ’র বাড়িতে প্রবেশের আগে গৌরনদী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ সালাউদ্দিন তাকে ফোন করেন। তিনি চেয়ারম্যান পিকলু গুহ’র অবস্থান জেনে তাকে বলেন, রুবেল গোমস্তা কিছু প্রকল্প নিয়ে আপনার কাছে যাচ্ছে ও গুলোতে আপনি স্বাক্ষর করে দিবেন।
ওই সূত্রটি আরো জানিয়েছে,
রুবেল গোমস্তার এ কাজে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিনের ইন্ধন রয়েছে। পতিত সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ছাত্র জনতার জুলাই আগস্ট বিপ্লবের পর রাতারাতি নিজেকে পাল্টে ফেলে হয়ে যান বিএনপি ঘনিষ্ঠ।
এখন তিনি বিএনপি সেজে ছাত্রদল নেতাদেরকে ব্যবহার করে প্রকল্পের নামে হরিলুটের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের সব কজন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত।
তাদেরকে পাশ কাটিয়ে পিআইও তার ইচ্ছা মাফিক প্রকল্প বন্টন করছেন।
ইউপি চেয়ারম্যানকে জিম্মি করে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায়ের কথা স্বীকার করে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোঃ রুবেল গোমস্তা বলেন, এরকম কোন ঘটনা আমার দ্বারা ঘটেনি। এরকম কোন ঘটনা আমার জানাও নেই। কেউ আপনাকে বলে থাকলে সে মিথ্যা বলছে।
গৌরনদী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন বলেন, প্রকল্পের সিপিসি হবে ইউপি চেয়ারম্যান বা সদস্য, এর বাইরে অন্য কেউ সিপিসি হওয়ার কোন বিধান নেই।
অতএব আমার যুক্তি জিনি অভিযোগ করছেন, তিনি না জেনে করেছেন। তার অভিযোগ সত্য নয়।