ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘটনায় ৯০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে ভাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার রাতে ভাঙ্গা থানার এসআই হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের প্রধান ম ম সিদ্দিক মিয়াকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর সুয়াদীতে সিসিবিএল তেল পাম্পের সামনে ফরিদপুর-৪ আসন পুনর্বিন্যাসকে কেন্দ্র করে আসামি ম ম সিদ্দিক মিয়ার নেতৃত্বে পলাতক আসামিসহ অজ্ঞাতনামারা সমবেত হন। তারা রাস্তায় বড় বড় গাছ ফেলে, টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে ভয়ভীতি ও শক্তির মহড়া প্রদর্শন করে বাস ও যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
পুলিশ তাদেরকে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা পুলিশের নিষেধ অমান্য করে মারমুখী অবস্থান নেয়। পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও রাস্তা অবরোধকারী উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় তাদেরকে মৌখিক সতর্কতার পর ধাওয়া করলে আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।এতে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
জানতে চাইলে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার দুপুরের দিকে মামলাটি করা হয়। এ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া মামলার প্রধান আসামি ম ম সিদ্দিক মিয়াকে শনিবার রাতে নগরকান্দা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের গেজেটে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে গেজেট প্রকাশের পরের দিন থেকে রেলপথ ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করা হয়। এতে ঢাকা-খুলনা ও ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে চলাচলরত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যান চলাচল ব্যাহত হয়।