সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কোনো কিছু না বুঝে বলেননি বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত মঙ্গলবার মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে এম সাখাওয়াত হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘সেনাপ্রধান আমার জন্য অনেক উঁচু স্তরের লোক। তিনি একটি বাহিনী চালাচ্ছেন। তিনি কোনো কথা না বুঝে বলেননি। বাকিটা ইন্টারপ্রিটেশন কী আপনারা জানুন। আমি যতটা ওনাকে চিনি, ভেরি স্ট্রেট ফরওয়ার্ড ম্যান। যা বলার মানুষের মুখের ওপর বলার মতো লোক। সো আই হ্যাভ এ লট অব রেসপেক্ট ফর হিম।’
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘উনি (সেনাপ্রধান) কি বলেছেন না বলেছেন সে ব্যাখ্যা আমি দিতে পারব না। সেটা উনিই দিতে পারবেন।’
প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি যেভাবে সম্বোধন করেছেন সেটা পারেন কি না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এটা আপনারা তাকে জিজ্ঞাসা করেন।’
রাওয়া ক্লাবের ওই অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘হানাহানি না করে দিনশেষে দেশ ও জাতির দিকে খেয়াল করে এক থাকতে হবে। যদি নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে।’
সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমি সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলতে পারবেন না যে সতর্ক করিনি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যতটুকু পারছেন সাহায্য করছেন দেশকে ইউনাইটেড রাখার।’
তিনি বলেন, ‘আজকে একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই। আমার অন্য কোনো আকাঙ্ক্ষা নাই, একটাই আকাঙ্ক্ষা, দেশ ও জাতিকে সুন্দর জায়গায় রেখে সেনা নিবাসে ফেরত আসব।’
সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করবেন না। সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারও কারও, কী কারণে জানি না। আমাদের সাহায্য করেন, আক্রমণ নয়। আমাদের উপদেশ দেন, আমি সবার কাছে স্মরণাপন্ন হই, আমরা ভালো উপদেশ গ্রহণ করব, আমরা এক থাকতে চাই, দেশ ও জাতিকে আমরা রক্ষা করতে চাই।’