আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী প্রস্তুতিসহ দলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার দলীয় সাংগঠনিক কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে দলটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিন বেলা ১১টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়। সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছেন।
এ ছাড়া সভায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মহানগর ও জেলার সব থানা, উপজেলা, পৌর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবসহ প্রায় চার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত আছেন।
সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য শুনবেন এবং নতুন বার্তা দেবেন।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, বিগত আন্দোলনের মূল্যায়নের পাশাপাশি আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত দলের কর্মপরিকল্পনা কী হবে, সে বিষয়ে মতামত নিতেই এ সভা ডাকা হয়েছে। এর মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীদের অবস্থান, জনপ্রিয়তা এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের সঠিক চিত্র উঠে আসবে বলে মনে করছেন তারা।
দলটির উচ্চপর্যায়ের নেতারা বলেন, আগামী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে- এমন প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। তৃণমূলের বক্তব্যে অনেক প্রার্থীর বিষয়ে একটি ‘মূল্যায়ন চিত্র’ পাওয়া যাবে।
গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পটপরিবর্তনের পর ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আজ সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলসংলগ্ন মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভাপতিত্ব করবেন। উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্বে নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
জানতে চাইলে বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা আমাদের সময়কে বলেন, সারাদেশে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থা নিরসন এবং সংসদ নির্বাচনমুখী বিএনপির পথচলা কেমন হতে পারে- এ বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সরকার বা অন্য কোনো পক্ষ সময়ক্ষেপণ করার চেষ্টা করলে দলটি মাঠপর্যায়ে কর্মসূচি আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে নিয়ে রেখেছে। এ অবস্থায় এপ্রিল মাসে কেন্দ্র থেকে জেলা পর্যায়ে নতুন করে আরও কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। একই সঙ্গে সংস্কারের নামে ভোটের তারিখ পেছানোর চেষ্টা হলে দলটি মেনে নেবে না। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে তৃণমূলের ভাবনাও চাওয়া হবে আজকের এ সভায়।