টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলামের বাসা ভাঙচুর, লুটপাট, দখল ও দশ কোটি টাকা চাঁদা দাবির মামলায় সমন্বয়ক পরিচয়ধারী মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার রাতে শহরের পশ্চিম আকুর-টাকুর পাড়া (হাউজিং) এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে সাবেক এমপির বাড়ি দখল নেওয়ার কারণে গত শনিবার রাতে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অ্যাডভোকেট মো. জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান (৫৮) রবিবার সকাল ১১টায় টাঙ্গাইল থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, টাঙ্গাইল সদর থানাধীন আকুর টাকুর পাড়া (ছোট কালী বাড়ি রোড) সাকিনস্থ বাদীর বাসার ৫ম তলাবিশিষ্ট বিল্ডিংয়ের কেঁচি গেটের ষষ্ঠ তালা ভেঙে গ্রেপ্তারকৃত বিবাদীসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৮-৯ জন ৫ লাখ টাকা এবং ১০ ভরি স্বর্ণালংকার (যার মূল্য অনুমান ১২ লাখ টাকা) চুরি করে নিয়ে গেছে। এছাড়াও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ নিয়ে তালা ভেঙে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে রুমে প্রবেশ করায়।
এ বিষয়ে বিবাদীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি রেগে গিয়ে বাদীকে বলেন, ‘এই বাড়িতে বসবাস করতে হলে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দিতে হবে। অন্যথায় আগামী সাতদিনের মধ্যে বাড়িটি পুড়িয়ে ফেলা হবে।’
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহম্মেদ জানান, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট, দখল ও চাঁদা দাবির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে টাঙ্গাইল সদর থানার একটি মামলা রুজু করা হয়।
পরে ৯ মার্চ রাতে শহরের আকুর টাকুর পাড়া (হাউজিং) এলাকা থেকে মারইয়াম মোকাদ্দেস মিষ্টিকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় অন্যান্য আসামিদের শনাক্তসহ গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।