ঝালকাঠি জেলার শেখেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর আবুল কালামের বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এই কর্মকর্তার বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারন মানুষ। অভিযোগ রয়েছে, জমি বিরোধের শালিস মিমাংসা করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন এই কর্মকর্তা। এছাড়াও জুয়ার আসর, মামলার তদন্তে গরিমসি, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, ইটবাটা, অবৈধ ড্রেজার থেকেও বেপরোয়া ঘুষবাণিজ্য করেন তিনি এবং মাদক ব্যবসায়ীদের সাথেও রয়েছে সখ্যতা। বর্তমানে আ’লীগসহ তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিদের ধরতে অভিযানে গিয়ে টাকার বিনিময় রফাদফা করেন বলে স্থানীয়রা জানান। তারা আরো জানান, এই কর্মকর্তা এমনকোন কাজ নেই যা থেকে ঘুষ গ্রহণ করেন না। কিছুদিন পূর্বে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত একটি অভিযোগ থেকেও তিনি উৎকোচ গ্রহণ করেন। স্থানীয় পর্যায়ে কোন অভিযোগ পেলেই শুরু হয় আবুল কালামের ঘুষ বাণিজ্য এমনটিই জানান একাধিক ভুক্তভোগী। নারী পিপাসু এই কর্মকর্তা একাধিক নারী বাদীর সঙ্গে সক্ষতা করার চেষ্টাও করেন। একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি। কে এই আবুল কালাম। তার খুঁটির জোর কোথায়?। আবুল কালাম জেলা পুলিশের হৃদপিণ্ড!। তাকে ছাড়া চলেই না এই অধিদপ্তর। তথ্যসূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠি জেলা পুলিশকে নতুন করে সাজানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন বর্তমান পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়। কিন্তু তারপরেও বিতর্কিত পুলিশ সদস্যর জন্য পুলিশের ভাবমূর্তি পুরোপুরি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এমনই একজন ইন্সপেক্টর আবুল কালাম। নানা বিতর্ক জড়িত থাকার পরেও তিনি বহাল তবিয়তে এখনো কর্মরত রয়েছেন শেখেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে। জনমে প্রশ্ন কোন অদৃশ্য ক্ষমতার বলে নানান অপকর্ম করেও এখনো বহাল তবিয়াতে রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামীলী সরকারের আমলে তার নির্দেশনায় তার আওতাধীন বিভিন্ন থানায় বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করে নানা ধরনের অত্যাচার করতেন ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন। এখন আবার ভোল পাল্টিয়ে বলেন আমরা তো সরকারি চাকরিজীবী সরকার যা নির্দেশ দেয় আমরা তাই বাস্তবায়ন করি। তবে বর্তমানে এক্ষেত্রে একটু চোখ-কান খোলা রেখে নিজেকে সেইভ রাখার চেষ্টা করেন। অপর একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, বিগত সরকারের সময় কোন জবাবদিহিতা না থাকার ফলেই হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন। তিনি চলাফেরা করেন রাজকীয় স্টাইলে। এ বিষয়ে শেখেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর আবুল কালামের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, নিউজ করার কি দরকার আসেন একসাথে বসে চা খাবো। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।