চাচার জমির উপর থেকে জোর পূর্বক সরকারি পাঁকারাস্তা নির্মান করে নেয়ার কাজে বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে সোমবার রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার জঙ্গলপট্রি গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে হামলা, মারধর, রক্তক্ষয়ী পাল্টা হামলা এবং ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ১জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানাগেছে, ওই গ্রামের আইয়ুব আলী সিকদারের জমির উপর দিয়ে জোর পূর্বক সরকারি পাঁকা রাস্তা নির্মান করে নেয়ার চেষ্টা চালায় তাদের প্রতিবেশী সাবেক ইউপি সদস্য এবং মাহিলাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মো. নজরুল ফকির। এ নিয়ে নজরুল ফকিরের সাথে সম্প্রতি আইয়ুব আলী সিকদারের ভাতিজা সহোদর দুই যুবদল কর্মী মিরাজ সিকদার ও জাহিদ সিকদারের বিরোধ বাঁধে।
সাবেক ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা মো. নজরুল ফকির (৫৫) অভিযোগ করেন, ওই বিরোধের জের ধরে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কাছেমাবাদ এলাকায় বসে যুবদল কর্মী মো. হীরা সরদারের নেতৃত্ েমিরাজ সিকদার ও তার সহোদর মো. জাহিদ সিকদার মিলে তার উপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তার ভাই অজিবর ফকির (৫০) ও ছেলে রুবেল ফকির (৩০) ফকিরকেও মারধর করে আহত করা হয়।
প্রতিপক্ষ মো. নজরুল ফকির, আজিবর ফকির ও রুবেল ফকিরকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে যুবদল কর্মী মো. জাহিদ সিকদার পাল্টা অভিযোগ করেন, নজরুল ফকিরকে মারধরের কাল্পনিক অভিযোগ তুলে তার নেতৃতে লোকজন জড়ো হয়ে ওইদিন রাত পৌনে ৯টার দিকে আমার সহোদর দুই যুবদল কর্মী মো. মিরাজ সিকদার ও আমার বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় তারা লাঠি-শোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আমাদের বসতঘরসহ আমাদের স্বজন ও সহযোগীদের ৫টি বসত ঘর ভাংচুর করে ও লুট-পাট করে।
হামলাকারীরা তাদের বসত ঘর ভাংচুরকালে ঘর থেকে নগদ ১লক্ষ টাকা ও ৩ ভড়ি স্বর্নালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। একই সময় হামলাকারীরা আমার বাবা মো. আতাহার আলী সিকদার (৬৫) ও মা রাসিদা বেগম (৫৮)কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। তাদের ধারালো অস্ত্রের কোপে কপালে রক্তাক্ত যখম হওয়া আমার বাবা আতাহারআলী সিকদারকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মা’ রাসিদা বেগমকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে থানার এস আই মো. জুয়েলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।