সোমবার, ১১:৫৮ অপরাহ্ন, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সময়ের কণ্ঠধ্বনি এর সম্পাদক ও প্রকাশক লায়ন দিদার সরদারের শুভেচ্ছা মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করলেন তারেক রহমান চাঁদ দেখা গেছে, ঈদ আগামীকাল ৪৫ কর্মীর ৩ মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস বকেয়া রেখেই খুলল ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয় গৌরনদীতে হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের এতিমখানা ও মাদ্রাসা ছাত্রদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ, ইফতার মাহফিলও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০২ ঈদের তারিখ ঘোষণা করলো অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশেও ‘বড় মাত্রার’ ভূমিকম্পের শঙ্কা, ফায়ার সার্ভিসের সতর্কতা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, তাপপ্রবাহে কাটবে ঈদ ফাঁকা ঢাকায় নাশকতার হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে গিবত জঘন্য ক্যান্সার

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৬৫ বার পঠিত

গিবত সামাজিক শান্তিবিধ্বংসী একটি ঘৃণ্য অপরাধ। গিবত আরবি শব্দ, যার আভিধানিক অর্থ পরনিন্দা করা, কুৎসা রটানো, পেছনে সমালোচনা করা, পরচর্চা করা, দোষারোপ করা, কারো অনুপস্থিতিতে তার দোষ অন্যের সামনে তুলে ধরা। ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে এটি খুবই জঘন্য ও নিন্দনীয় কাজ, যাকে হারাম ও কবিরা গুনাহ বলা হয়ে থাকে, যা থেকে বিরত থাকতে ইসলামে কঠোরভাবে আদেশ করা হয়েছে। অথচ আজকাল অপরের দোষচর্চা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গিবত এত গোনাহের কাজ হওয়া সত্ত্বেও আমরা গিবত পরিত্যাগ করিতে পারছি না, গিবত বর্জনের কোনো চেষ্টাও করছি না।
গিবতের প্রতি সতর্ক করে ইরশাদ হচ্ছে- ‘তোমাদের কেউ যেন একে অপরের গিবত বা পরনিন্দা না করে। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাকো।’ (সূরা হুজুরাত) গিবতের ভয়াবহতা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘পরনিন্দাকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (বুখারি ও মুসলিম) রাসূলুল্লাহ সা: আরো বলেন, ‘গিবত জেনার চেয়েও মারাত্মক।’ (মেশকাত)

দুনিয়াতে গিবতের সবচেয়ে বড় কুফল হচ্ছে- মানুষের মধ্যে একতা নষ্ট হয়, অন্তরে অন্যের প্রতি সন্দেহ ও অবিশ্বাস তৈরি হয়, ভালোবাসা ও সম্প্রীতি হারিয়ে যায়। ফলে সমাজ এবং রাষ্ট্রে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। অন্যান্য গুনাহ তাওবাহ করলে মাফ হয়; কিন্তু গিবত এমন গুনাহ, যা শুধু তওবাহ করলে মাফ হয় না। সে যার গিবত করেছে, সে যদি মাফ করে তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তাকে মাফ করবেন।
আর সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে একটু চিন্তা করলে আমরা বুঝতে সক্ষম হবো যে, গিবত থেকে তৈরি হয় বিভিন্ন সামাজিক ও জাতীয় সমস্যা। সম্পর্কের মধ্যে বিভিন্ন টানাপড়েন, আরো কত কী। গিবত ইসলামী শরিয়তে সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নিষিদ্ধ। গিবত করা ও গিবত শোনা সমান অপরাধ। যখন কেউ আপনার সাথে বসে অন্যের গিবত করে, তখন তাকে থামতে বলুন, আল্লাহর হুকুমের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সাবধান করুন। আর তাতেও যদি কাজ না হয়, তবে সেখান থেকে সরে আসুন। রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘পরনিন্দাকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (বুখারি ও মুসলিম)

সংশোধনের জন্য বলতে চাইলে যার বিষয় শুধু তাকেই বলা যাবে, অন্যকে নয়। মুখের মাধ্যমে অন্যের দোষচর্চা করাকে যেমনিভাবে গিবত বলা হয়, ঠিক তেমনিভাবে অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে অন্যের দোষচর্চা করাকেও গিবত বলা হয়। যেমন- চোখের মাধ্যমে, কানের মাধ্যমে, লেখালেখির মাধ্যমে, অন্য যেকোনো উপায়ে অন্যের দোষ বর্ণনা করা। আমাদের প্রত্যেকের উচিত, ঘৃণিত এ গুনাহ থেকে নিজকে বিরত রাখা এবং একে-অন্যের কল্যাণ কামনা করা।

লেখক :

  • মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম সাদিক

প্রাবন্ধিক ও মুদ্রণ ব্যবস্থাপক

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com