গ্রীষ্মের শুরুতে অনেক রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। এ সময় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তিতা জাতীয় খাবার খেতে পারেন। বিশেষ করে এ সময় করলা, নিম, শজনে খেতে পারেন।
করলা এমন একটি সবজি, যা সারা বছর পাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, বি কমপ্লেক্স, বিটা কেরাটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। করলা ‘ইমিউনিটি বাড়াতে, ব্লাড প্রেশার, সুগার কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটারি উপাদান আছে যা, ব্লাডে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে হার্ট ভালো থাকে, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ হয়। করলার মধ্যে থাকা স্যাপোনিনস এবং টারপেনয়েডস চুল, ত্বক ভালো রাখে। নিমের মধ্যে রয়েছে আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ফসফরাস। নিমের মধ্যে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্ত পরিশোধনে সাহায্য করে। শজনে ডাঁটা বা ফুলও উপকারী। এতে ভিটামিন সি, এ, কে, বি আছে। ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে, সর্দি-কাশি নিরাময়ে সাহায্য করে। কালমেঘ আর থানকুনি পাতাও অনেক রোগের উপশম করে। এদের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্ত পরিশুদ্ধ করে, ইমিউনিটি বাড়ায়।
গরমকালে তিতা খাওয়া ভালো, খালি পেটে খেলে বেশি উপকার। কৃমি সারাতে, লিভার ভালো রাখতে বা জন্ডিসের রোগীদের জন্য নিম উপকারী। বলা হয় ‘উচ্ছে, নিম বা শজনের মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা কৃমি সারাতে, লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে। এগুলো ইমিউনিটি বাড়ায় তাই পক্স, জন্ডিসের সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা যায়। তিতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যে বহু রোগের উপশম করে।