বিদ্যুতে সংযোগকৃত তার ধরে আছেন রমজান। এ সময় তার শরীর স্পর্শ করলে জ্বলে উঠছে টেস্টার ও বাল্ব। বিদ্যুৎস্পর্শ হলে মৃত্যু অনিবার্য কিন্তু তাকে কখনোই বিদ্যুৎস্পর্শ হতে দেখেনি এলাকাবাসী।
তাই এলাকার জনগণের কাছে ‘বিদ্যুৎ রমজান’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার পূর্ব সোহাগদল গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের রিয়াজুল হক রমজান।
এইচএসসি পাস রমজান লেখাপড়ার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই বিদ্যুতের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। প্রায় ২০ বছর ধরে বিভিন্ন বাড়িতে বৈদ্যুতিক ওয়্যারিংসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিকস সংযোগের কাজ করছেন তিনি।
কিন্তু বিদ্যুতের কাজের পাশাপাশি রমজানের শরীরেও আছে বিদ্যুৎ। তার শরীরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। এমনকি তার শরীরে টেস্টার ও বৈদ্যুতিক বাল্বের সংযোগ দিলে সেগুলো জ্বলে ওঠে।
এলাকাবাসীরা জানান, সরাসরি বিদ্যুৎ স্পর্শ করলেও রমজানের কিছু হয় না। তার সমগ্র শরীরে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলেও তার কোনো ক্ষতি হয় না।
প্রতিদিন তাকে দেখার জন্য এলাকাবাসীরা তার বাড়িতে ভিড় করে। দেখাতে হয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ে তার পেশাগত কাজটি। তিনি কখনো মেইন সুইচ অফ করে বিদ্যুতের কাজ করেন না বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।
এ বিষয়ে রমজান বলেন, ছোট থেকেই আমি এই পেশায় জড়িয়ে পড়ি। হঠাৎ একদিন মেইন লাইনের তার আমার গায়ে স্পর্শ করে। কিন্তু তাতে আমার কোনো ক্ষতি হয়নি।
পরে শরীরে টেস্টার দিয়ে দেখি তাতে আলো জ্বলছে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই বিশ্বাস করছিল না। তাদেরকেও টেস্টার ও বাল্ব জ্বালিয়ে দেখিয়েছি। পরে এই পেশায় প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। কোনোদিন কাজ ছাড়া ঘরে বসে থাকতে হয় না।
নেছারাবাদ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এজিএম মো. রাসেল জানান, মানুষের শরীরের অংশগুলোর অভ্যন্তরে মৌলিকভাবে তাপমাত্রা সংগ্রহ করা থাকে।
কিছু সূত্র অবলম্বন করে এটা করা যায়। তবে ভুলেও কোনো কিছু বিস্তারিত না জেনে এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।