তিনদিনের জন্য তাবলিগে যান মো. হুমায়ন কবির নামের এক ব্যক্তি। এ সুযোগে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান তার স্ত্রী। পরে ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১১। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ঘটেছে এই ঘটনা।
র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মো. হুমায়ুন কবিরের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার ভোর ৫টায় নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে স্ত্রী সামিরা খাতুন (ছদ্মনাম) ও সালমা আক্তারকে (ছদ্মনাম) গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে একটি স্যামসাং এন্ড্রোয়েড মোবাইল, এক জোড়া স্বর্ণের বালা, দুটি স্বর্ণের নেকলেছ, চার জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, চারটি স্বর্ণের কানের দুল, একটি স্বর্ণের হাতের ব্রেসলাইট, তিনটি স্বর্ণের চেইন, পাঁচটি স্বর্ণের আংটিসহ ১৫ ভরি চোরাই যাওয়া স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত এসব স্বর্ণের মূল্য ১২ লাখ ৪ হাজার আটশত টাকা।
গ্রেপ্তার সামিরা খাতুন সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভদ্রগাঁও গ্রামের মিকার বাড়ির মেয়ে এবং সালমা আক্তার সদর উপজেলা ধর্মপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির আবদুল লতিফের স্ত্রী।
র্যাব জানায়, মো. হুমায়ন কবির একজন ইতালী প্রবাসী। ইতালি থাকার সুবাদে তার স্ত্রী সামিরা খাতুনের সঙ্গে ফারুক হোসেন (৩০) নামে এক যুবকের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি তার শ্বশুর-শাশুড়ি জানতে পেরে ছেলেকে জানায়। খবর পেয়ে পাঁচ মাস আগে ইতালি থেকে দেশে আসেন হুমায়ন কবির। দেশে ফিরে স্ত্রীকে সংশোধনের চেষ্টা করলে হুমায়ুন কবিরকে নারী নির্যাতনে মামলার ভয় দেখান তার স্ত্রী। পরে গত ১২ জুন (রোববার) সোনাইমুড়ীর একটি মসজিদে তিনদিনের জন্য তাবলিগে যান হুমায়ুন। এ সুযোগে গত ১৪ জুন সামিরা স্বামীর দেওয়া ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে প্রেমিক ফারুকের সঙ্গে পালিয়ে যান।
উদ্ধার করা মোবাইল ফোনে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগের অশালীন কথাবার্তা ও অশ্লিল ছবি আদান-প্রদানের স্ক্রিনশট জব্দ করা হয়েছে। পরে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা দিয়ে আসামিদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুনুর রশিদ বলেন, মামলা রুজু করে গ্রেপ্তার দুই নারী আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।