তার কথা স্মরণে হঠাৎ
মোচড় দেওয়া অন্তর দুগন্ড বেয়ে লোনাজলের প্লাবন।
ভালো কি বেসেছিলে জানতে ইচ্ছে করে।
অন্তরে দগ্ধ ঘা নিয়ে স্মৃতিভ্রষ্টা যখন দ্বারেদ্বারে তখন কোথায় ছিলো তোমার অন্তর ছোঁয়া বাক্যবান।
পাহাড়ের পাদদেশে বসে কথা দিয়েছিলে যত ঝড়তুফান আসুক যাবেনা ভুলে।
সাক্ষী সেই পাহাড় এখনো তেমনি দাঁড়িয়ে শুধু বদলেছো তুমি।
আগ্নেয়গিরির লাভা অন্তরে দগ্ধ অন্তর আজো ভোলেনি।
যে ক্ষত দিয়েছো অন্তরে বড় ক্লান্তিকর আজও প্লাবিত করে দুগন্ড।
কাজল আঁকা আঁখিদুটি আজও প্রতিক্ষায়।
অনাবৃষ্টিতে শুষ্ক ধরা যেমন,
প্রচন্ড শীতে হরিদ্রাভ পত্রঝরা আজ অন্তর তেমন।
আজও পথচেয়ে প্রকৃতির বসন্ত
বারবার আসে ফিরে আসনি তুমি।
এখনো অন্তর কেঁদে মরে প্রথম কদম গুচ্ছ অনাদরে ঝরে।
সেই যে কাশবন এখনো ডেকে চলে নিবিড় আলিঙ্গনে।
হেমন্তের রাতে চাদর মুড়ে জোছনা মেখে অঙ্গে এসেছিলে নিয়েছিলে কাছে টেনে।
আজও স্মৃতি মাখা চাদর কথা বলে।
শুধু আসো নাই ফিরে।