সরকারি দল আওয়ামী লীগের রক্ত চক্ষুকে উপক্ষো করে দীর্ঘ ৫বছর পর নিজ জন্মভূমি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকলের মটিতে ঈদের নামাজ আদায় করলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান, বরিশাল -১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জননেতা এম. জহির উদ্দিন স্বপন।
শনিবার সকালে বরিশাল শহরের বাস ভবন থেকে সড়ক পথে রওনা হয়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনি সরিকল গ্রামের নিজ বাড়িতে এসে পৌছেন। একটি প্রাইভেট কার একটি মাইক্রোবাস ও সামনে-পিছনে শতাধিক মোটর সাইকেলের একটি বিরাট বহর নিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা তাকে বরিশাল শহর থেকে নিরাপদে নিজ গ্রামের বাড়িতে পৌছে দেন। এ দৃশ্য তখন লাইভ সম্প্রচার করা হয়। বাড়িতে পৌছে সেখানে অপেক্ষমান বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীদের সাথে তিনি কুশল বিনিময় করেন।
পরে ওই নেতাকর্মীদেরকে সাথে নিয়ে তিনি সরিকল গ্রামে তাদের সামাজিক ঈদ’গা মাঠে যান। সেখানে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে উপস্থিত হয়ে তিনি দলীয় নেতা-কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্ধাদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি দেশ-জাতি ও মুসলীম উম্মাহ’র কল্যান ও সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং দেশে গনতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আগামীর আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য দলের নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসীর প্রতি আহবান জানান। এরপর দলীয় নেতা-কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্ধাদের সাথে ওই ঈদ’গা ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে হাজার হাজার নেতা-কর্মী বেষ্টিত হয়ে তিনি পায়ে হেটে পূনরায় নিজ বাড়িতে ফিরে দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে তার মরহুম পিতা-মাতা ও পূর্ব পূরুষগনের কবর জিয়ারত করেন। এরপর তিনি তার নির্বাচনী এলাকা বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত দলের তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় শেষে সকাল ১০টার দিকে বরিশাল শহরের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান।
সরিকল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা জানান, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তারা আমাদের নেতা স্বপন ভাইকে এলাকায় প্রতিরোধের ঘোষণা দেয়। তারা হুমকি দেয় যে, তিনি এলাকায় ঢুকলে বিএনপি নেতা-কর্মীদেরকে আক্রমন চালিয়ে এলাকায় রক্তের বন্যা বইয়ে দেবে। সম্ভাব্য রক্তপাত এরাতে আমাদের নেতা এতদিন এলাকায় আসেননি। দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি ঘোষিত আগামীর আন্দোলন সংগ্রামকে বেগবান করায় নেতা-কর্মীদের মনে সাহস যোগাতে এবার তিনি সরকারি দল আওয়ামী লীগের হুমকি, ধামকি ও রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করলেন। এলাকায় ফিরে তিনি পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করলেন, নিজের মরহুম পিতা-মাতা ও পূর্ব পূরুষগনের কবর জিয়ারত করলেন ও নেতা-কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ফিরে গেলেন। এতে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা দারুন উজ্জিবিত হয়েছে।
বিএনপি নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা অভিযোগকে অস্বীকার করে সরিকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন আকন বলেন, আওয়ামী লীগের কেউ প্রতিরোধের কথা বলেছে বলে আমার জানা নেই। সেতো নির্বিঘেœ এসে ঈদের নামাজ পড়ে চলে গেল। আওয়ামী লীগ যদি কোন হুমকি দিত। তা হলেতো আজ তাকে বাঁধা দিত। বিএনপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমাদের কোন লোকজনতো তার আসা যাওয়ায় বাঁধা দেয়নি।