কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নবীন এক ছাত্রীকে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতন এবং সেসব মুহূর্তের ভিডিও ধারন নিয়ে করা অভিযোগ শুনবেন হাইকোর্ট।
বুধবার দুপুর ২টায় এ বিষয়ে শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত। নির্ধারিত সময়ে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে লিখিত আবেদন নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
ইবি ছাত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের ভিডিও ধারণের ঘটনাটি গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমের নজরে আসে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। আজ ঘটনাটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবীরা।
ওই ছাত্রীকে নিযার্তনের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আজ বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এ সময় ঠিক করেন।
এদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবরের বিষয়টি আদালতের সামনে উপস্থাপন করেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন ও আজগর হোসেন তুহিন।
এদিকে ইবির নবীন এই ছাত্রীকে নির্যাতন ও র্যাগিংয়ের ঘটনা এবং অভিযুক্তদের পাল্টা অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় হল কর্তৃপক্ষ। চার সদস্যের এ কমিটিতে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসানুল হককে আহ্বায়ক করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইসরাত জাহান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌমিতা আক্তার। তারা দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক। এছাড়া হলের শাখা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকও কমিটিতে আছেন।
গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় ওই ছাত্রীকে তিন-চার ঘণ্টা করে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তরা মারধরের পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, হুমকি-ধামকি এবং তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে ভাইরাল করাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। এতে ভয় পেয়ে সোমবার সকালে ক্যাম্পাস ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যান ওই শিক্ষার্থী।
এরপর পরিবারের পরামর্শে গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযুক্তরা হলেন ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সানজিদা চৌধুরি অন্তরা ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী তাবাসসুমসহ তাদের সঙ্গীরা।