বৃহস্পতিবার, ০৬:০৬ অপরাহ্ন, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
গৌরনদীতে দিনভর খোঁজাখুঁজি, ভোরে জমিতে পাওয়া গেল লাশ গৌরনদীতে মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই-খাতা, কলম ও গরিব-অসহায়, শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৭ জন ঢামেকে শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক চলছে ‘আ.লীগকে পুনর্বাসন করতে হলে আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে করতে হবে’ ভারত তার দেশের জনগণের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে : পাকিস্তান টিউলিপ সিদ্দিককে ‘দুনীতিগ্রস্ত’ বললেন ইলন মাস্ক প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে বিএনপি আজকেই টাকা না দিলে দুর্বার রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজি বাতিল

পটুয়াখালীতে আবেদন করে মৃত থেকে জীবিত হলেন যুবলীগ নেতাসহ ৪৭ জন!

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ৯৪ বার পঠিত

মৌলিক অধিকার বা প্রয়োজনের তাগিদে যদি কখনো কোনো সরকারি দপ্তরের দ্বারস্থ হয়ে জানতে পারেন আপনি মারা গেছেন, তা হলে অনুভূতিটা কেমন হবে?

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। এদের মধ্যে একজন শিক্ষক সালমা আক্তার (৩৬)। তিনি করোনার টিকা নিয়ে গিয়ে জানতে পারেন তিনি মারা গেছেন। এতে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হন ওই শিক্ষিকা।

শুধু সালমা নয়, ইউপি নির্বাচনে উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে মো. নজরুল ইসলাম নামে সাবেক এক যুবলীগ নেতা জানতে পারেন তিনি আর বেঁচে নেই।

তাই তিনি আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানান উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।  সালমা আর নজরুলসহ বেঁচে থেকে সরকারি হিসাবে মৃত হওয়ায় বিপাকে পড়েন ৪৮ ভুক্তভোগী।

পরে দীর্ঘদিন অফিসপাড়ায় ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে ভোটার তালিকায় জীবিত হন তারা। প্রতিনিয়ত নিজেদের জীবিত প্রমাণে বহুবার তাদের ঘুরতে হয় নির্বাচন অফিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে।

জীবিত থাকার পরও মৃত হওয়ায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীনও হন তারা। বঞ্চিত হন রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে।  অনেকে সরকারি বেতন বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপনও করেছেন।

এসব মৃতদের পর্যায়ক্রমে জীবিত করতে নির্বাচন অফিসের কর্তাদের সময় লাগে আট মাস। গত বছরের নভেম্বর মাসে শেষ হয় ভুল সংশোধনের কাজ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৫ সালের দিকে ভোটার তথ্য হালনাগাদের সময় ভুল তথ্য দিয়ে ওই সব ব্যক্তিকে মৃত দেখান তথ্য সংগ্রহকারীরা।

আর তা যাচাই-বাছাই ছাড়াই তাতে সই-স্বাক্ষর করে দেন ভোটার তথ্য হালনাগাদে দায়িত্বে থাকা শনাক্তকারী ও সুপারভাইজাররা।

ভোটার তালিকায় মৃত হওয়া মো. নজরুল ইসলাম জানান, ভোটার তথ্য হালনাগাদের সময় ভুল তথ্য দিয়ে তাকে মৃত দেখানো হয়েছিল।

এতে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, ৪৭ ব্যক্তির আবেদন সংশোধন করা হয়েছে। তাদের ভোটার আইডি সংশোধন করে জীবিত করে দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com