ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে বরিশাল নগরীর অন্তত অর্ধশত এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে নগরীর সদর রোড, ভাটিখানা, বটতলা, অক্সফোর্ড মিশন রোড, গোরস্থান রোড, কালীবাড়ি রোড, বগুড়া রোড, বাংলাবাজার এলাকা ঘুরে জলাবদ্ধতার চিত্র দেখা যায়।
এসব এলাকার বাসিন্দারা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মহানগরীর অন্তত অর্ধশত এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া খাল ও জলাশয় ভরাটের ফলে এ সমস্যা দিন দিন বাড়ছে বলে দাবি তাদের।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বরিশাল শাখার সমন্বয়ক মো. রফিকুল আলম বলেন, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, খাল খনন না করা, জলাশয় ভরাটের কারণে এমন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া ২০১০ সালে মাস্টার প্ল্যানে ৪৬টি খালের নাম পাওয়া গেলেও এখন কোনোমতে অস্তিত্ব টিকে আছে ৭টি খালের। আর নগরীতে বর্তমানে জলাশয় টিকে আছে মাত্র ১০ শতাংশ। ফলে পর্যাপ্ত পানিপ্রবাহের জায়গা না থাকায় নগরবাসীকে এ দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ সম্পর্কে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, খালগুলো খননের জন্য ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। প্রজেক্টটি পাস হলে বরিশাল নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বলেন, সিত্রাংয়ের প্রভাবে নদীর পানি বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে বিভাগের নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। জেলা-উপজেলা সদরের প্রধান শহরেও পানি ঢুকেছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব শেষে সকাল থেকে আবহাওয়াও স্বাভাবিক রূপ নিয়েছে বরিশালে।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষক আবদুল কুদ্দুস জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এখন স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বরিশাল অঞ্চলে এখন কোনো সমস্যা নেই। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত রয়েছে। তবে নদীবন্দরে কোনো সংকেত নেই।
সূত্রঃ সময় টিভি