বুধবার, ০৭:০২ অপরাহ্ন, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
ভারত থেকে চিন্ময়ের মুক্তি দাবি কিসের আলামত, প্রশ্ন রিজভীর আইনজীবী হত্যার ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার ৬ : প্রেস উইং চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতি দেয়া অনধিকার চর্চা : উপদেষ্টা নাহিদ রয়টার্সের মনগড়া সংবাদের প্রতিবাদ জানালো সিএমপি হাইকোর্টের নজরে ইসকন-চট্টগ্রামের ঘটনা : আদালতকে পদক্ষেপ জানাবে সরকার ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, যে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে : তারেক রহমান বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরনে গৌরনদীতে স্মরন সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আইনজীবীকে ‘কুপিয়ে হত্যা করল’ ইসকন সদস্যরা

বাড়ছে বিদ্যুৎ-পানির দাম

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২
  • ৮০ বার পঠিত

মাস দুই আগে সবধরনের জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে ৫০ শতাংশের ওপরে বাড়িয়ে নানা সমালোচনার মুখে ৫ শতাংশ কমানো হয়। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর সবধরনের পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। পানির দাম বাড়ানোর ঘোষণাও দেয়া হতে পারে যেকোনো সময়। ইতোমধ্যে খুলনা ওয়াসা গতকাল মঙ্গলবার পানির দাম প্রতি ইউনিটে প্রায় ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে ৬ টাকা ৯১ পয়সা থেকে ৮ টাকা ৯৮ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। বেড়ে গেছে ডলারের দাম। সবমিলে এমনিতেই মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়লে পণ্যমূল্য আরো নাগালের বাইরে চলে যাবে। এতে জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) দায়িত্বশীল এক সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে পিডিবির বিদ্যুতের দাম ৬৫.৫৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হয়েছে। গত ১৮ মে বিদ্যুতের দাম পাইকারি পর্যায়ে গড়ে প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। নিয়ম অনুযায়ী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে শুনানির রায় ঘোষণা করতে হবে। সেক্ষেত্রে ১৩ অক্টোবরের মধ্যেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে হবে। ওই সূত্র জানিয়েছে, এ কারণে আগামী বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে পারে বিইআরসি। তবে, এক্ষেত্রে প্রথমে শুধু পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়বে।

বিইআরসির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কমিশন ১৫-২৫ শতাংশের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব চূড়ান্ত করে রেখেছে। এরই মধ্যে তা বিদ্যুৎ বিভাগে জমাও দেয়া হয়েছে। সরকার চাইলে এটি কিছুটা বাড়াতে বা কমাতেও পারে। এক্ষেত্রে সরকার কতটা ভর্তুকি দেবে তার ওপর নির্ভর করবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর হার।

বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পাঁচ টাকা ১৭ পয়সা। গত ১৮ মে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে ইউনিট প্রতি ৬৬ শতাংশ বাড়িয়ে আট টাকা ৫৮ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করে পিডিবি। তবে, বিইআরসির অপর এক সূত্র জানিয়েছে, চলমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের দাম নাও বাড়ানো হতে পারে। তবে, সবকিছুই নির্ভর করছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিইআরসির ঘোষণার ওপর।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে নানাভাবে ইঙ্গিত দিয়ে আসছে বিদ্যুৎ খাতের নীতিনির্ধারকরা। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে ওইসব ইঙ্গিতই বাস্তবে রূপ নেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পানির দাম বাড়ানোর অপেক্ষায় ঢাকা ওয়াসা : এ দিকে পানির বড় অঙ্কের দাম বাড়াতে প্রতি বছর ৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে ঢাকা ওয়াসা। তবে ২৫ শতাংশ দাম বাড়াতে তাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান আর কয়েকদিন পরই আমেরিকা থেকে ফেরার কথা। এরপরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে। ওয়াসার ভারপ্রাপ্ত এমডি প্রকৌশলী এ কে এম সহিদ উদ্দিন নয়া দিগন্তকে জানান, বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত সেপ্টেম্বরে পানির দাম সমন্বয়ের কথা ছিল, কিন্তু সেটি স্থগিত রয়েছে। আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জানিয়েছি। গত ৪ আগস্ট মন্ত্রণালয়ে করা ওই আবেদনে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯ টাকা এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য ৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করার আবেদন করা হয়েছে। তবে সরকার এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানায়নি। সহিদ উদ্দিন বলেন, আমাদের সব ধরনের খরচ বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, পাইপসহ সব ধরনের সামগ্রীর দাম বেড়েছে। ফলে আমাদের পানির দাম না বাড়িয়ে উপায় নেই। সরকার যদি দাম না বাড়ায় তাহলে সরকারকেই ভর্তুকি দিতে হবে। আর না হলে ওয়াসা বন্ধ করে দিতে হবে।

গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ৫ শতাংশ পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা ওয়াসা। গত ৬ জুলাই ওয়াসা বোর্ডের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জানা যায়, ঢাকা ওয়াসার বর্তমানে সাতটি প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। বিপুল ঋণ নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে ঢাকা ওয়াসাকে ঋণের সুদ ও আসলের কিস্তি পরিশোধে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। এ ছাড়া সংস্থাটি সম্প্রতি তিনটি প্রকল্প শেষ করেছে। আগামীতে আরো দুটি নতুন প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে। সরকারও পানির খাতে আর ভর্তুকি দিতে চায় না। যে কারণে পানির দাম বাড়াতে তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি, যার দায়ভার বহন করতে হবে নগরবাসীকে।

বর্তমানে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ঢাকা ওয়াসার প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ১৫ টাকা ১৮ পয়সা। আর বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য ৪২ টাকা। ওয়াসা বোর্ডের গত ৬ জুলাইয়ের এক সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে চলতি সেপ্টেম্বর মাস থেকে এ দামের সাথে ৫ শতাংশ অতিরিক্ত যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। তবে এতটুকু দাম বাড়িয়েই সন্তুষ্ট নয় ওয়াসা। তারা আরো দাম বাড়াতে চায়। এজন্য ওয়াসা বোর্ডের ওই সিদ্ধান্ত মানেননি এমডি তাকসিম এ খান। বরং সম্প্রতি ওয়াটার এইডের মাধ্যমে রাজধানীতে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে ওয়াসা। এতে ধনী-গরিব এলাকা ভাগ করে কোথাও বেশি আবার কোথাও কম দাম নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে সে প্রস্তাব এখনো চূড়ান্ত না হওয়ায় এবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পানির দাম বাড়ানোর আবেদন করেছেন ওয়াসা এমডি। ওই আবেদনে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯ টাকা এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য ৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর সাথে স্যুয়ারেজ লাইনের জন্যও সমপরিমাণ বিল পরিশোধ করতে হবে গ্রাহকদের। ফলে বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে জর্জরিত নগরবাসীকে আরো বিপাকে পড়তে হবে। ওয়াসার এ আবেদন নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

তবে সাম্প্রতিককালে ওয়াসার পানির দাম নিয়ে বিভিন্ন সভায় বক্তব্য দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ওয়াসার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। গত ২ সেপ্টেম্বর পিআইবিতে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে আর ভর্তুকি দেয়া হবে না। ঢাকায় বসবাসরত বেশির ভাগ মানুষই বিত্তবান জানিয়ে তিনি বলেন, এ জন্য ঢাকায় জোন-ভিত্তিক পানির দাম আলাদা করে বাড়ানো হবে। গুলশান-বনানীর অভিজাত এলাকায় পানির দাম বেশি থাকবে। নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাসরত এলাকায় পানির দাম অপেক্ষাকৃত কম থাকবে। শুধু পানি নয় হোল্ডিং ট্যাক্স, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য জোনভিত্তিক নির্ধারিত হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সভায়ও তিনি এমন মন্তব্য করেন।

গত ১৭ জুলাই রাজধানীর পানির দাম নিয়ে ওয়াটার এইডের একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওয়াসা। ওই প্রতিবেদন অনুসারে এলাকাভিত্তিক পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। ধনী এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বেশি দাম বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও জানানো হয় ওই সভায়। আর শুধু বস্তিতে কিছু কম মূল্যে পানি সরবরাহের কথা জানানো হয়। ওই সভায় ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকার ওয়াসাকে ক্রমান্বয়ে ভর্তুকি কমাতে বলেছে। এজন্য তারা পানিতে আর ভর্তুকি দিতে চায় না। তা ছাড়া বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের বিষয়টিও তুলে ধরে তারা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে এক হাজার লিটার পানি উৎপাদনে ওয়াসার ব্যয় হয় ২৫ থেকে ২৬ টাকা। এতে তাদের ভর্তুকি দিতে হয়। সরকার ক্রমান্বয়ে ওয়াসাকে ভর্তুকি কমাতে বলেছে। এজন্য রাজধানীকে ১০টি জোনে ভাগ করে এলাকাভিত্তিক ও গ্রাহকভিত্তিক পানির নতুন দাম নির্ধারণ করতে চায় ঢাকা ওয়াসা।

প্রস্তাবনা অনুযায়ী, উচ্চবিত্তের আবাসিক প্রাহকদের জন্য প্রতি এক হাজার লিটার পানির জন্য দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতি হাজার লিটারে উচ্চবিত্তদের জন্য দাম বাড়ছে ২২ টাকা ৩২ পয়সা। ওয়াসার তথ্য মতে, নগরে ওয়াসার উচ্চবিত্ত গ্রাহক শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ। এরপর উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের পানির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ টাকা ২৫ পয়সা, যা বর্তমানের চেয়ে ১৬ টাকা ০৭ পয়সা বেশি। রাজধানীতে এ শ্রেণীর মানুষ রয়েছে এক দশমিক ৩ শতাংশ। মধ্যবিত্তদের জন্য দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা। যা আগের দামের চেয়ে ৯ টাকা ৮২ পয়সা বেশি। আর নগরে ওয়াসার মধ্যবিত্ত গ্রাহক ৪ শতাংশ। নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য দাম বাড়ছে ৩ টাকা ৫৭ পয়সা। প্রস্তাবিত দাম ১৮ টাকা ৭৫ পয়সা। আর রাজধানীতে ওয়াসার নিম্ন মধ্যবিত্ত গ্রাহকই সর্বোচ্চ, যা শতকরা ৭৯ দশমিক ৪ শতাংশ। নি¤œ আয়ের ২ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ একই পরিমাণ পানির জন্য বিল দেবে ১২ টাকা ৫০ পয়সা। ফলে তাদের প্রতি হাজার লিটারে পানির দাম কমছে ২ টাকা ৬৮ পয়সা। ওয়াসার সাড়ে ১১ শতাংশ বাণিজ্যিক গ্রাহক বর্তমানে প্রতি হাজার লিটার পানির জন্য ৪২ টাকা পরিশোধ করছে। প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী সেই বিল বাড়বে ৮ টাকা। ৪২ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৫০ টাকা। তবে উৎপাদন মূল্যের সমান, অর্থাৎ ২৫ টাকা হারে বিল পরিশোধ করবে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নতুন মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে ওয়াসার পানির উৎপাদন মূল্য ও বিক্রি মূল্যের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা সমান করা যাবে। অর্থাৎ এ খাতে ভর্তুকি দিতে হবে না। জানা যায়, ওয়াটার এইডের এ গবেষণা প্রতিবেদন বর্তমানে আরো যাচাই-বাছাই পর্যায়ে রয়েছে।

এটি বাস্তবায়ন করতে আরো কয়েকটি ধাপ পার করতে হবে ওয়াসাকে। তবে এর মধ্যেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় ওয়াসা। ওই চিঠিতে বলা হয়, পরিচালনা ব্যয় এবং বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধের টাকার (ডিএসএল) পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান পানির দামে ওয়াসার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং ডিএসএল পরিশোধ দুরূহ হয়ে পড়েছে। ঋণের টাকা পরিশোধ এবং ব্যয়ভার বহন করতে পানির বিশেষ মূল্যবৃদ্ধি প্রয়োজন। ওয়াসার চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ঋণের সুদ ও আসলের কিস্তি পরিশোধ করতে হয়েছিল ২০১ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা।

এজন্য তারা আবাসিকে ২৫ শতাংশ দাম বাড়িয়ে ১৫.১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯ টাকা এবং বাণিজ্যিক সংযোগে ১৯ শতাংশ বাড়িয়ে ৪২ টাকা থেকে ৫০ টাকা করার আবেদন জানিয়েছে।

বছরজুড়ে দফায় দফায় নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। করোনা পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সঙ্কটে রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা ওয়াসা গত দুই বছরে দুইবার আবাসিক ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে পানির দাম বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ১৪ বছরে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বেড়েছে ১৫ বার।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com