রবিবার, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

নিজ দেশের মানুষ ভিন দেশে এসে নিজ দেশে ভিসা নিয়ে যেতে হয়!! রেভিডেন্স যোদ্ধাদের প্রতি সেবার মান অবহেলিত!!

মিজানুর রহমান মুন্সি, ইতালী থেকে
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২
  • ১৬৬ বার পঠিত

বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী কুট নৈতিক মিশন গুলির আচরন দুঃখজনক। তার মধ্যে ইতালী অন্যতম। বাংলাদেশ যে অর্থের উপর দারিয়ে আজ কথা বলছে সে অর্থের শিংহভাগ যোগান দিচ্ছে কর্মদেশে কাম করা দিন মজুরেরা। আর সেই দিন মজুরদের দুটি জায়গা বেশী ব্যাবহার করতে হয় তা হল দুতাবাস আর বিমান বন্দর।  আমরা কামলারা  বঞ্চিত হয়রানি অপমানিত হচ্ছি এ দুটো জায়গা থেকে। এ নিয়ে লেখালেখি প্রতিবাদ সেমিনার কম হয়নি কিন্তু কোনটাই কিছু হচ্ছে না। বিভিন্নভাবে  কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করলেও সে সকল দাবি কিছুদিন আলোচনা হলেও অন্ধকারেই থেকে যায়। পৃথিবির সবগুলো দেশের কুটনৈতিক মিশনগুলো সরকারি খরচে পরিচালিত হয় কিন্তু বাংলাদেশের দুতাবাসগুলো পরিচালনা করতে সরকারের বেগ পাইতে হয় না কারন দুতাবাসের প্রায় সকল খরচ কামলাদের ঘারে চাপিয়ে আদায় করে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ  টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। পাসপোর্ট  ফি   নবায়ন ফি, ইত্যাদি সহ আমাদের কামলাদের গুনতে হয় অনেক টাকা। আমাদের টাকায় চলা দুতাবাসের কর্ম কর্তাদের যদি সঠিক সেবা পেতাম তা হলেও আপত্তি ছিল না। সামান্য কাজের জন্য পোহাতে হয় নানা ভোগান্তি।
এই ভোগান্তি আর হয়রানির স্বীকার  হয়েও আমাদের পরিশ্রমের ফসল তুলে দেই সেই ৫৬ হাজার বর্গমাইলের দেশ বামংলাদেশ আমার প্রিয় জন্ম ভুমির হাতে। দেশে যাবার সময় সকল বিমান বন্দরের সঠিক সেবা নেয়ার পরে নিজের দেশের বিমানবন্দর কতৃপক্ষের  সেবাত দুরের কথা নানাবিদ হয়রানির স্বীকারে অতিষ্ঠ। এত বিমান বন্দরের কথা, আমরা যদি দুতাবাসের হয়রানির কথা বলি;
বাংলাদেশ দুতাবাস রোম  যে বাড়ীটা আমাদের বাংলাদেশের টাকায় কেনা। এ ভবনটা আমাদের  আর এই ভবনের কর্মকর্তারা আমাদের নিয়ে কাজ করে। ইউরোপের দেশগুলোতে যারা রাষ্ট্রদূত তাদের বেশীর ভাগ কাজই থাকে আমরা যারা এ সকল দেশে আছি তাদের নিয়ে  কিন্তু আমাদের অর্থায়নে চলা দুতাবাস যে সেবা দেয় তা নিয়ে আছে বিতর্ক।
নিজের দেশে যেতে হলে আমার লাগবে সরকারী  অনুমতি মানে ভিসা। কথাটা যদি এ ভাবে বলি; ” কর্মদেশে কর্ম করে আয়ের সব অংশ দিয়েও অনুমতি নিয়ে দেশে যেতে হয় আর সে অনুমতি পাইতে আবার ফি গুনতে হয়।” এটা একপ্রকার হয়রানি মনে করি। আমাদের যাদের দৈত নাগরিকত্ব আছে তাদের কেন ভিসা নিয়ে দেশে যেতে হবে?এই ভিসা নিতে অন লাইনে এপয়ের্মেন্ট সহ দূর শহর থেকে ভিসা আবেদনে পোহাতে হয় অর্থদন্ড এবং সময়। গত কিছুদিন আগে পাসপোর্ট  এবং সার্টিফিকেট নিতে গিয়ে দুতাবাসের অনিয়মের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগিরা বিক্ষোপ করেছে।  আর এ বিক্ষোপে ভাংচুর সহ ঘটেছে নানা ঘটনা।
প্রবাসে এসে যারা তাদের অর্জিত টাকা দিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখে তাদের জন্য সরকারের একটু সেক্রিফাইস থাকা মানবিক বলেই সুধীজন মনে করে।  অধিকারের জন্য করতে হবে প্রতিবাদ না হয় তদবির অথবা তদবিরের সাথে অতিরিক্ত টাকা। এ সকল হয়রানির বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছেন তারা কতটুকু যোক্তিক সেটা বিবেচ্য বিষয় নয় তাদের এ দেশের প্রসানের কাছে কতটুকু লিগাল হবার সহযোগিতায় কাজ করতে পারে সেটাই আসল কথা। এই দুতাবাসটা এ দেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের টাকায় কেনা অথচ রোম দুতাবাসে সামনের গেট ব্যাবহার করা হয় কর্মকর্তাদের জন্য আর পিছনে গাড়ী উঠানামা করার গেট দিয়ে আমাদের সেবার কাজ করা হয় যা আমরা এ দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশীরা অপমানবোধ করি। অপমানকেও যদি বাদ দেই তা হলে পিছন সাইট দিয়ে আমাদের উঠা নামায় রয়েছে চরম রিস্ক। যেমন এই বাড়িটা পাহারের এক টিলায় সে ক্ষেত্রে পিছনের সাইট মেইন রাস্তা থেকে অনেক নীচু এই পথে শুধু গাড়ী উঠা নামাই সম্ভব, বাচ্চা বয়স্ক লোক কিংবা অন্তসত্যা মহীলারা এই পথে উঠা নামায় রয়েছে মারাত্তক ঝুকি। আমাদের যেখানে বসে পাসপোর্ট ডেলিভারি  দেয় কিংবা ওয়েটিং রুম সেটা গাড়ীর গ্যারেজ। যা অপমান এবং রিস্ক। আমরা দুতাবাসের কাছে যে আবর্জনা সেটাই প্রমান করে। আমি কিছুদিন আগে এই অনিয়ম অব্যাবস্থাপনার বিষয় নিয়ে বর্তমান রাষ্ট্রদুত শামীম আহসান এর সাথে সাক্ষাতে বিষয়টা তুলে ধরি এবং বিষয়টা অবহিত করি তিনি এ নিয়ে পিছনে কটা লিফট করে দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন। আমি বলতেচাই সামনের গেট দিয়ে সেবার দরজা চালু করে সকল অনিয়ম দূর করে ইতালী বসবাস রত সকল বাংলাদেশীদের সকল সেবা দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com