চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় কারখানার পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সান্টুকে গ্রেপ্তার করেছে শিল্প পুলিশের একটি টিম। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর মুরাদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পারভেজ সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় সীতাকুণ্ড মডেল থানায় দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি।
শিল্প পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মাহাবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার অন্য আসামিদেরও খোঁজা হচ্ছে।
পারভেজ উদ্দিন সান্টু কোম্পানির পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। আর তার ভাই মামুন উদ্দিন কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাদের আরেক ভাই আশরাফ উদ্দিন বাপ্পিও কোম্পানির পরিচালক। তাদের বাবা এই কারখানা তৈরি করেছিলেন।
সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে নিহত এক ব্যক্তির স্বজন যে মামলা করেন, তাতে এই তিন ভাইকেই আসামি করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান।
তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, এই অক্সিজেন প্ল্যান্টের বিস্ফোরণের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের গাফিলতি এবং কিছু অনিয়ম হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ৯টি সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ বিকেলে কদমরসুলের কেশবপুর এলাকায় সীমা স্টিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কয়েক কিলোমিটার এলাকা। ঘটনাস্থলের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছিটকে পড়ে বিস্ফোরিত ইস্পাতের টুকরো।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।
পরে বিস্ফোরণে নিহত একজনের স্ত্রী বাদী হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রাণহানির অভিযোগ এনে ৭ মার্চ সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন। মামলায় মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।