আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ না করলে কোনো ধরনের আলোচনা হবে না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, আওয়ামী লীগ কোনো কথা রাখে না। তাই এই সরকারের পদত্যাগের পর নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য সন্ত্রাস, ভয়ভীতি দেখিয়ে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনা থেকে বোঝা যায় আওয়ামী লীগ তাদের চরিত্র এতটুকুও বদলায়নি বরং আগের মতো সন্ত্রাসী হামলা করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে বিরোধীদলকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়।
‘‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সংবাদমাধ্যম, সংবাদ কর্মীদের জন্য যেসব আইন করেছে তার একটাই লক্ষ্য- যেন সঠিক সংবাদ পরিবেশন করতে না পারে, জনমত গড়ে উঠতে না পারে এবং সত্য যেন উদঘাটিত হতে না পারে। সেকারণে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশ ১০ ধাপ নিচে নেমে গেছে।
এতে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে সম্পূর্ণভাবে স্বৈরাচারী দেশ ফ্যাসিবাদী দেশে পরিণত হতে চলেছে,পরিণত হয়ে গেছে।’’
বিএনপির জাতীয় স্থায়ীকমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাসভবনে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
মির্জা ফখরুল দলের নেতা কর্মী ও জনগণের প্রতি আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার যে ইচ্ছা তা প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
‘‘যে সরকার ফ্যাসীবাদী রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাইছে তাদের প্রতিহত করতে জনমতের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক পার্লামেন্ট সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ।’’