প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পবিত্র রমজানে ক্লাস চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলবে।
আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এক আদেশে সরকারের এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আদেশে বলা হয়, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান অব্যাহত রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে।
আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। ১৮ মাস পর গত সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়। কিন্তু এরপর নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার, যা ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিল। এরপর প্রথমে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়। পরে মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ও খুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রাক–প্রাথমিকের ক্লাসও চলছে।
সাধারণত পবিত্র রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকে। কিন্তু এবার করোনার কারণে অস্বাভাবিক ছুটির কারণে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে, সেটি খানিকটা হলেও পুষিয়ে নিতে কিছু দিন আগে ২০ রমজান পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার ঘোষণা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার পর রমজান মাসে মাধ্যমিক ও কলেজে ক্লাসের কী হবে, তা নিয়ে কয়েক দিন আগে কলেজের অধ্যক্ষ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশির একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, করোনার ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে অন্তত মধ্য রমজান পর্যন্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ খোলার পক্ষে মত দেন অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকেরা। এই প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষ কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বলা হয়েছে।