তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা ডা. মুরাদ হাসানকে এবার জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জামালপুর জেলা শাখার জরুরি সভা ০৭ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, বিকেল ৪ ঘটিকায় বকুলতস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জামালপুর জেলা শাখার স্বাস্থবিষয়ক সম্পাদক ও জামালপুন-৪ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানকে দলীয় ভাবমূর্তি বিনষ্ঠ, অগঠনতান্ত্রিক ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক অব্যাহতি প্রধান করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আজ দুপুরে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ নিজের পদত্যাগপত্র ইমেইলে পাঠিয়ে দেন। ‘ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন’- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন।
ডা. মো. মুরাদ হাসান ২০০৮ সালের পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ডা. মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে সরকার গঠনের সময় মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ৫ মাসের মাথায় ওই বছরের ১৯ মে তার দফতর পরিবর্তন করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
বেশকিছু দিন ধরে বিভিন্ন কারণে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। কখনও বিরোধী দলের নেতাকর্মী নিয়ে আবার কখনওবা চলচ্চিত্র জগতের লোকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন। তবে গতকাল থেকে আরও ভয়ংকর তথ্য ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের পদত্যাগের দাবি তোলে বিএনপি। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও চিত্রনায়ক ইমনের সঙ্গে ডা. মুরাদের একটি ফোন আলাপের অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেশের একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে মুরাদ হাসানের অশালীন ভাষায় কথা বলতে এবং তাঁকে হুমকি দিতে শোনা যায়।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। একপর্যায়ে সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন।