দেশের ইতিহাসে ১৩ বছর আগে সংঘটিত হয়েছিল অন্যতম বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড। ঢাকার পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও দেশের ইতিহাসের জঘন্যতম দিনের ১৩ বছর পূর্ণ হয়েছে শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। ২০০৯ সালের এই দিনে গোলাগুলির শব্দ আর তার কিছুসময় পরে থেকে একের পর এক লাশে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল সারা দেশ। জাতি হারিয়েছিল কৃতী ও চৌকস ৫৭ সেনা সদস্যসহ মোট ৭৪ জন।
পিলখানা ট্র্যাজেডির এই দিনটিতে নিহতদের স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করবে বিজিবি ও দেশবাসী। বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের করবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুযারি) সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে নিহতের স্মরণে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন রাষ্ট্রপ্রতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানসহ বিজিবির মহাপরিচালক।
এ সময় নিহতের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন, ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, এ ঘটনার বিচার যেন সুষ্ঠু হয় সেভাবেই কাজ করছে সরকার।
বহুল আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় (পিলখানা হত্যা মামলা) ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা। দীর্ঘ বিচার ও রায় শেষে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিলখানা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।