ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনের শিকার ফুলপরী খাতুন নতুন হলে উঠেছেন।
রোববার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে তার নামে বরাদ্দকৃত সিটে ওঠেন তিনি। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বাবার সাথে ক্যাম্পাসে আসেন ফুলপরী।
এদিকে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো সেই ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করতে পারেনি হল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটিতে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসান-উল-আম্বিয়াকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরী খাতুনকে রাতভর র্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ তার কর্মীরা। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে তিনটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ ও শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়া, হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।
তদন্ত প্রতিবেদনে নির্যাতনের সত্যতা পান হাইকোর্ট। পরে ১ মার্চ জড়িত পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার, ভুক্তভোগীকে তার পছন্দমতো সিট বরাদ্দ দেয়া এবং দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই দিনই শেখ হাসিনা হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করে প্রশাসন। পরে কয়েক দফা তদন্তের পর ৪ মার্চ ছাত্রলীগের অভিযুক্ত পাঁচ নেতা-কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন, শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি ও ফিন্যান্স বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। অন্তরা বাদে সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।