পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হওয়ার পর প্রথম ছুটির দিন আজ। অন্যদিকে তীব্র শীতে কাঁপছে পুরো দেশ। তবে ছুটির দিন ঠিক জমে উঠেছে মেলার আনন্দ। মেলায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে একটু ভাটা নেই। আনন্দ জোয়ারে ভাসছে মেলাপ্রাঙ্গণ।
শুক্রবার দুপুরে মেলা পরিদর্শন করে দেখা গেছে, কুয়াশায় আচ্ছন্ন মেলাপ্রাঙ্গণ। মেলা শুরু হওয়ার আগেই রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকা থেকে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
ছুটির দিন হওয়ায় অফিস ও কাজের চাপ না থাকায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে চলে আসেন মেলায়। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরাও দলবেধে মেলায় চলে আসেন। নানা বয়সি আর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠেছে পুরো মেলাপ্রাঙ্গণ। ক্রেতাদের ভিড়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্যাভিলিয়ন ও স্টলে দায়িত্বরতদের।
মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, কেউ কেউ প্রিয়জনকে নিয়ে এসেছেন মেলায়। আবার অনেকেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেলাপ্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সেলফি তুলছেন, পণ্য কিনতে ভিড় করছেন বিভিন্ন প্যাভিলিয়নে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মররত আবেদ সরকার ঢাকা থেকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছেন।
তিনি যুগান্তরকে বলেন, স্থায়ী মেলাপ্রাঙ্গণটি অনেক সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেলাপ্রাঙ্গণে ঘুরে ছবি তুলেছি, কিছু কেনাকাটাও করেছি, যদিও এবার একটু শীত বেশি তাও সব মিলিয়ে ভালোই লেগেছে।
গাজীপুর থেকে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, গত বছর মেলায় এসেছি এবার আসা হয় নাই, আজ ছুটির দিন তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। ভালো লাগছে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি দেখে। গতবারের চেয়ে স্টল বেশি সাজিয়েছে আরও সুন্দর করে।
এখানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হবে আগে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। তবে এখানে স্থায়ীভাবে এই এক্সিবিশন সেন্টারটি তৈরি করায় ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ সবদিকের মানুষের জন্যই সুবিধা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি গাজীপুর থাকি, সেখান থেকে এখানে আসতে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি। এই মেলা শেরেবাংলা নগরে হলে পরিবার নিয়ে আমার মেলায় যেতে কষ্ট হতো। কিন্তু এখানে মেলা হওয়ায় ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ সব এলাকার লোকজনের আসতে সুবিধা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আরও জমে উঠবে এমনটাই মনে হচ্ছে।