ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। সকালে বৃষ্টি বাগড়া দেয়ার চেষ্টা করলেও তাদের দমাতে পারেনি। ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরুর প্রথম দুদিনের মতো তৃতীয় দিনেও কমলাপুর স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। এতে অপেক্ষা আর ভোগান্তি অনেকটাই কমেছে ঈদযাত্রীদের।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ট্রেন সময় মতো ছেড়ে যাচ্ছে। তবে দু-একটি ট্রেন ছাড়ছে সামান্য দেরিতে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সকালে ৮টার পর রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম অভিমুখী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, চিলাহাটি অভিমুখী নীলসাগর, চট্টগ্রাম অভিমুখী মহানগর প্রভাতী ও তিস্তা এক্সপ্রেস স্টেশন ছেড়েছে নির্ধারিত সময়ে।
এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে কমলাপুর স্টেশন ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, মহুয়া কমিউটার, কর্ণফুলি কমিউটার। প্রতিটি ট্রেন নির্দিষ্ট প্লাটফর্মে স্টেশন ছাড়ার অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি বিকল হওয়ার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের কারণে ঘরমুখো মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশুরা বিপাকে রয়েছেন।
বুধবার রাত থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় থেকে রাবনা পর্যন্ত এ যানজটের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ জানায়, ঘরমুখো মানুষ, যানবাহন চাপ ও ফিটনেসবিহীন বেশ কয়েকটি যানবাহন বিকল হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে পুলিশ এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত দুই লেনের সড়ক একমুখী (ওয়ানওয়ে) করেছে। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন এলেঙ্গা থেকে সেতুর দিকে যাচ্ছে। অপরদিকে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী যানবাহন সেতু পার হয়ে ভূঞাপুর সড়ক হয়ে এলেঙ্গা হয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে গরুবাহী ট্রাক একমুখী সড়কের আওতার বাইরে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ফিটনেসবিহীন যানবাহন বিকল হওয়ায় কয়েকটি রেকার দিয়ে সরাতে সময় লেগেছে। এছাড়াও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ রয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।